হাসানের তোপের পর নাঈম, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে রান

এসব ম্যাচে ফল থেকে জরুরী ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। সেই জায়গায় হতাশ করেছেন বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান।
বিকেএসপিতে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পাননি তিনি। ছবি: বিসিবি

তামিম ইকবাল, লিটন দাসদের দমিয়ে রেখে দারুণ বল করলেন হাসান মাহমুদ। এই তরুণের পেসে বড় রান পেল না তামিম একাদশ। জবাবে সাকিব আল হাসানের ব্যাটও ছিল নীরব, মুশফিকুর রহিমও পাননি জুতসই রান। তবে কথা বলেছে নাঈম শেখের ব্যাট। ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দুই দল ভাগাভাগি হয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। ৪০ ওভারের সেই ম্যাচে তামিম একাদশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

এসব ম্যাচে ফল থেকে জরুরী ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। সেই জায়গায় হতাশ করেছেন বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে গিয়ে তামিমের দল করে মাত্র ১৬১ রান। তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে ২১ রানে ৪ উইকেট তুলেন হাসান। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ওই রান তুলতে ৩৬.৫ ওভার ব্যাট করতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহদের।

১৬২ রানের লক্ষ্যে ইয়াসির আলিকে নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন নাঈম। পঞ্চম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে কাটা পড়েন ইয়াসির।

তিনে নামা সাকিবকে নিয়ে ইনিংস টানছিলেন নাঈম। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফিরে রান পাননি সাকিব। প্রথম  প্রস্তুতি ম্যাচেও তার ব্যাট থাকল নীরব। ১০ বলে ৩ রান করে রান আউটে ফেরার আগে বেশ অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা গেছে তাকে।

এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি পান নাঈম। সাবলীল খেলে তিনি এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু সাইফুদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থেমে যায় তার ৪৩ রানের ইনিংস। ৫২ বলের ইনিংসে নাঈম মেরেছেন ৭ চার।

আরও পড়ুন- তামিমদের বিপক্ষে হাসান মাহমুদের ঝলক

কম রানের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জমে যায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর জুটি। অল্প রান তাড়ায় ছিল না চাপ। তাই নির্ভার ব্যাট করতে থাকেন তারা। ৫০ রানের জুটির পর থিতু হয়ে যাওয়া মুশফিক শেখ মেহেদীর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৪৮ বলে কোন  বাউন্ডারি ছাড়াই মুশফিক করেছেন ২৮ রান।

এরপর মোসাদ্দেক হোসেনও ফেরেন তড়িঘড়ি। তবে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ছিল আস্থার ছবি। অনায়াসে চার বাউন্ডারিতে ফিফটি (৫১) তুলে নেন তিনি। মেহেদী হারান মিরাজ (১৩ রান) কে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

১৬ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। প্রধান কোচ ও দুই নির্বাচক দুই ম্যাচেই মাঠে বসে খেলা দেখে ঠিক করবেন ওয়ানডে সিরিজের চূড়ান্ত দল। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

তামিম একাদশ: ৩৭.২ ওভারে ১৬১ (৪০) (তামিম ২৮, লিটন ২, শান্ত ২৭, মিঠুন ১৬, সৌম্য ২৪, আফিফ ৩৫, শেখ মেহেদী ১, সাইফুদ্দিন ৭*, নাসুম ২, রুবেল ০, মোস্তাফিজ ৯ ; আল-আমিন ২/৩২, শরিফুল ২/২৭, সাকিব ০/৩১,হাসান ৪/২১, তাইজুল ০/২৭, মেহেদী ১/১৫)

মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ৩৬.৫ ওভারে ১৬২/৫ (৪০) (নাঈম ৪৩, ইয়াসির ৩, সাকিব ৯, মুশফিক ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫১*, মোসাদ্দেক ৩, মিরাজ ১৩* ; সাইফুদ্দিন ১/২৯, রুবেল ০/৩৫, মোস্তাফিজ ১/৩৮, শেখ মেহেদি ১/১৬, নাসুম ১/২৯, সৌম্য ০/৮)

ফল: মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৫ উইকেটে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago