সন্তান দাবি করে যুবকের মামলা

আদালতের সমনের জবাব দেননি বদি, শুনানিতেও অনুপস্থিত

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে পিতা দাবি করে এক যুবকের মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হননি বদি।
bodi.jpg
আব্দুর রহমান বদি। স্টার ফাইল ফটো

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে পিতা দাবি করে এক যুবকের মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হননি বদি।

এমনকি, তার বিরুদ্ধে আদালতের জারিকৃত সমনেরও কোনো জবাব পাঠাননি বদি। বিবাদী আদালতে হাজির না থাকায় এবং কোনো জবানবন্দি না দেওয়ায় শুনানি হয়নি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

আজ বৃহস্পতিবার মামলার পূর্ব নির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য ছিল। টেকনাফের যুবক মোহাম্মদ ইসহাক (২৬) গত ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে বিচারক জিয়াউল হক অভিযোগ আমলে নিয়ে বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

বদিকে আজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

আজ দুপুরে কক্সবাজার সহকারী জজ আদালত প্রাঙ্গণে মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ‘আবদুর রহমান বদি আমার পিতা। সেই দাবিতে ডিক্লারেশন আইনে মামলা করেছি। তার কাছে আমার সম্পদের চাওয়া নেই, তিনি আমাকে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন, আর কিছুই চাই না। তিনি আমার দাবি মেনে নিলেই পারেন। আমার পিতা সত্য স্বীকার করবেন বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার একটাই চাওয়া, সঠিক বিচার।’

মামলা দায়েরের পর নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ ইসহাক।

তিনি বলেন, ‘আমার মামলা ড্রাফট করে দিয়েছিলেন ওসমান সরওয়ার। তিনি আমার পিতাকে ভয় পান, তাই প্রকাশ্যে আইনি সহায়তা দিতে চাননি। শেষে নাজিম উদ্দিন ও কফিল উদ্দিনকে বললাম। তারা আমাকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।’

আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতের ইস্যুকৃত সমনপত্র এখনও ফেরত আসেনি। তাই মামলার নির্ধারিত দিনে শুনানি হয়নি। যেহেতু সমনপত্র ফেরত আসেনি, সেহেতু আসামিরা সময় পেয়েছেন।

সমনপত্র ফেরত আসার পর আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলেও জানান তিনি। 

আরও পড়ুন:

নিজেকে বদির সন্তান দাবি করে যুবকের মামলা

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago