প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া কবুতরটি মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া

প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া একটি মার্কিন কবুতরকে অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি অনুযায়ী মেরে ফেলা হবে। গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্য থেকে পাখিটি নিখোঁজ হয় এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে নেওয়া এই ছবিটিতে একটি রেসিং কবুতরকে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের একটি বাড়ির ছাদে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছিল এটি পথ হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া গেছে। ছবি: এপি

প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া একটি মার্কিন কবুতরকে অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি অনুযায়ী মেরে ফেলা হবে। গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্য থেকে পাখিটি নিখোঁজ হয় এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়।

বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা ‘জো’ নামের ওই কবুতরটিকে দেশটির পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ‘বায়োসিকিউরিটি বা জীব নিরাপত্তার ঝুঁকি’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

পাখিটি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত আট হাজার মাইল পথ পাড়ি দিলো তা স্পষ্ট নয়। তবে, কর্মকর্তারা মনে করছেন ‘জো’ সম্ভবত একটি মালবাহী জাহাজে চড়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে।

মেলবোর্নের বাসিন্দা কেভিন সেলি-বার্ড জানান, তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর তার বাড়ির পেছনের বাগানে কবুতরটিকে দেখতে পেয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি বলেন, ‘কবুতরটিকে বেশ দুর্বল দেখাচ্ছিল। তাই আমি একটি শুকনো বিস্কুট ভেঙ্গে তাকে খেতে দিয়েছিলাম।’

ইন্টারনেটে গবেষণা করে সেলি জানতে পেরেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার এক ব্যক্তির নামে সেটি নিবন্ধন করা আছে এবং পশ্চিম ওরেগন রাজ্যের কবুতর প্রতিযোগিতার সময় সেটিকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কবুতরটি এখনও ধরা না পড়লেও, অস্ট্রেলিয়ার কৃষি, জল ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, কবুতরটির মাধ্যমে স্থানীয় পক্ষীকুলের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সেটিকে ধরা হবে।

অধিদপ্তরের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেখান থেকেই আসুক না কেন, যে কোনও পোষা পাখি বাইরে থেকে এলে তার স্বাস্থ্যগত মান ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা পূরণ না করলে তার অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি নেই।’

আইনগতভাবে অস্ট্রেলিয়ায় কবুতর আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন। এতে লাখ ডলারও ব্যয় হতে পারে। তবে, গত এক দশকেরও বেশি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনও কবুতর আইনি প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago