‘মূল দলে’ জায়গা পাওয়ার জন্য খেলবেন উইন্ডিজ অধিনায়ক!

Jason Mohammad

শীর্ষ খেলোয়াড়রা থাকলে দলেই জায়গা হয় না। গত দুই বছর যেমন হয়নি। জেসন মোহাম্মদ এবার কেবল দলে এলেনই না, বনে গেলেন রীতিমতো অধিনায়ক। তার সামনে চ্যালেঞ্জটা যত না দলীয়, তারচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত। বাংলাদেশ সিরিজে পারফর্ম করে মূল দলে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি।

বাংলাদেশে এসে তিন দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিন শেষ করে বৃহস্পতিবার প্রথম অনুশীলনে নামে ক্যারিবিয়ানরা। মিরপুর একাডেমি মাঠে চলে তাদের প্রস্তুতি।

সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে এই সিরিজের জন্য দায়িত্ব পাওয়া জেসন মোহাম্মদ জানান, সামনে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলেও তাদের নিজেদের লক্ষ্য আরেকটু যেন ভিন্ন।

জেসন যেমন সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেকগুলো ওয়ানডে খেলেছে, খেলেছে বিশ্বকাপ। কোথাও জায়গা হয়নি তার। করোনাভাইরাসকে অজুহাত দাঁড় করিয়ে ১০ শীর্ষ ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় আচমকা সুযোগ ঘটে তার।

শুধু খেলা নয়, দলকে নেতৃত্বও দিতে হবে। অবশ্য ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের উলটপালটের বাস্তবতায় এর আগেও একটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের ঠেকার কাজ করতে হয়েছিল তাকে।

দীর্ঘদিন দলে জায়গা না পাওয়া আবার হুট করে একেবারে অধিনায়ক বনে যাওয়া। আকাশ-পাতাল এই অদল বদলে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। তবে জেসন অতসব ভাবছেন না। তার লক্ষ্য আপাতত প্রথম সারির ক্রিকেটাররা ফিরলেও যাতে একটা জায়গা পাকা থাকে,  ‘আমি গত দুই বছর দলে ছিলাম না। দলকে এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার আমার কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি চ্যালেঞ্জের সামনে। আমার জন্য ভালো একটা সুযোগ। মূল দল যখন ফিরে আসবে তখন নিজের একটা জায়গা পাওয়ার জন্য যেন হাত উঠাতে পারি।’

করোনাভাইরাস স্থবিরতা কাটিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সবার আগে ক্রিকেটে ফেরায় ছিল উইন্ডিজই। এরপরে নিউজিল্যান্ডেও সফর করে এসেছে তারা। কিন্তু দলে না থাকায় জেসন মোহাম্মদের তো ওসব সিরিজে খেলা হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে লম্বা সময়ের জড়তা কাটানোরও চ্যালেঞ্জ তার,  ‘কয়েক মাস আমি ক্রিকেট খেলি না। ত্রিনিদাদ ও ট্যাবোগো দলের হয়ে কিছু অনুশীলন করেছি। এখানে কয়েকদিন তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি সম্ভব বল আমি পেটাতে চাই। মাঝ ব্যাটে লাগাতে চাই। তিন ম্যাচের সিরিজটা উপভোগ করতে চাই।’

লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে না পারায় চাপ নয় বরং নিজেকে অনুপ্রেরণা করাটা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি,  ‘দুই বছর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলিনি। নিজেকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন হবে না। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাই। অধিনায়ক হিসেবে দলের বড় ভূমিকা। বাড়তি কোন চাপ নেই। আমি কেবল উপভোগ করতে চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

Every beat of my patriotic heart, every spark of my nation building energy, every iota of my common sense, every conclusion of my rational thinking compels me to most ardently, passionately and humbly appeal to Prof Yunus not to resign from the position of holding the helm of the nation at this crucial time.

3h ago