প্রবাস

জাপানে বিদেশিদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা

করোনার নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনাবাসী বিদেশিদের জাপানে প্রবেশ স্থগিতের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে, বিদেশে বসবাসরত কিংবা বিদেশফেরত জাপানি নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবেন।
করোনাকালে টোকিও ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দৃশ্য। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০। ছবি: রয়টার্স

করোনার নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনাবাসী বিদেশিদের জাপানে প্রবেশ স্থগিতের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে, বিদেশে বসবাসরত কিংবা বিদেশফেরত জাপানি নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবেন।

জাপানে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিজনিত কারণে জরুরি অবস্থা চলাকালীন এই সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।

গতকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে এবং তা চলবে জরুরি অবস্থা বহাল থাকার পুরোটা সময়। কিছু এলাকায় জারি করা ওই জরুরি অবস্থা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তবে, বসবাসের অনুমতি পাওয়া বিদেশিদের দেশে পুনঃপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান কিংবা শিশু জন্মের মতো বিশেষ কারণে বিদেশিদের জাপানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

এ ছাড়াও, বিদেশে স্বল্পমেয়াদী বাণিজ্যিক ভ্রমণ শেষে জাপানি এবং বিদেশি নাগরিকদের জাপানে পুনঃপ্রবেশের পর স্ব-উদ্যোগে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন থাকার নিয়মকে শর্তসাপেক্ষ অব্যাহতি দেওয়ার উদ্যোগও স্থগিত করেছে সরকার।

তাদের ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে অথবা বিশেষ স্থাপনায় থাকার অঙ্গীকার করতে হবে এবং তাদের অবস্থানগত তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে যারা বসবাসের অনুমতির মর্যাদা পাচ্ছেন তাদের সেই মর্যাদা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। যারা এই শর্ত ভঙ্গ করে অবাধে চলাফেরা করেছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- চীন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার নির্দিষ্ট দশ দেশের পাশাপাশি বাণিজ্যিক কারণে তাইওয়ানে মানুষের যাতায়াতের অনুমোদন অব্যাহত রাখা হবে। এই তালিকার অন্য দেশগুলো হচ্ছে- হংকং, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।

উল্লেখ্য, জাপানে এ পর্যন্ত মোট ৩,১৮,৪৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৯৩৪ জন গুরুতর অসুস্থ। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৩৪,৪৬৭ জন এবং মারা গেছেন চার হাজার ৪১২ জন।

[email protected]

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago