বেশি মুনাফার জন্য বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার কথা শোনা যাচ্ছে। বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা বেশি মুনাফা করার জন্য। ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হবে ধনিক শ্রেণির জন্য, তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে?
দেশের বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত সাপেক্ষে করোনাভাইরাসের টিকা এনে দিতে পারবে—স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের কথা আওয়ামী লীগ বা সরকার চিন্তাই করে না। তারা কী করে ধনি হবে এটাই কেবল তাদের চিন্তা। কী করে বিদেশে বাড়ি করবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে সেই চিন্তা।
দেশের জন্য কল্যাণকর সব কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আপনি আয়নার দিকে তাকান, বুকে হাত দেন, নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করেন যে আপনারা কী করছেন। আপনারা এই জাতির সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ করে দিচ্ছেন, চুরমার করে দিচ্ছেন।’
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যবস্থায় ভোটের ফল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে পাল্টে দেওয়া যেতে পারে। ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করে বড় রকমের কারচুপি সম্ভব। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনি ভোট দিবেন আম মার্কায়, ওটা যাবে জাম মার্কায়। এটা সম্ভব। এটা করতে শুধু প্রোগ্রামিং করা দরকার। সেই প্রোগ্রামিংটাই তারা করে এসব কাজ করছে।
‘আসলে নির্বাচন কমিশন ব্যবসার জন্য দেশে ইভিএম চালু করেছে। যেটার দাম হয় ১২০০ টাকা সেটা তারা কিনেছে ৩৬০০ টাকায়। দেশের সবাই এখন ব্যবসায় নেমে গেছে।
নির্বাচন কমিশনে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন, এই নির্বাচন কমিশন অযোগ্য হয়ে গেছে। কারণ তারা দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, অসদাচরণ করছে এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যদি সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ আসে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যাদের প্রধান কাজ, সেটা যদি তারা না পারে তবে তাদের কোনো অধিকার নেই সেই পদে বহাল থাকবার।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই গণতন্ত্র নিয়ে কমবেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্তিশালী থাকে, তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব যদি পালন করে, তাহলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে না। আমরা যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখলাম। সেখানে পর্লামেন্টে আক্রমণ করে দখল করে নেওয়া হলো। পরে কংগ্রেস ও সিনেটের সদস্যরাই এক হয়ে বাইডেনকে স্বীকৃতি দিলেন।
Comments