মোংলা পোর্ট পৌর নির্বাচন

বিএনপি’র মেয়র ও ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী ও ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা মাদ্রাসা রোডে জুলফিকার আলীর বাসায় নির্বাচনি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুলফিকার আলী। ছবি: স্টার

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী ও ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা মাদ্রাসা রোডে জুলফিকার আলীর বাসায় নির্বাচনি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।

জুলফিকার আলী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার সামনেই আমার আত্মীয়-স্বজনসহ নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলার পরেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। বহিরাগতদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ভোট কারচুপি করা হচ্ছে। আমার সমর্থকরা যেন নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য আমি এবং ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করলাম।’

সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়ে মোংলা পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চালনা বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। নারীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ করা গেছে।

স্টার ফাইল ফটো

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুর রহমান, বিএনপির জুলফিকার আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদুর রহমান গামা মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৫ জন কাউন্সিলর ও তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মোংলা পৌর এলাকার ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৬৮১ জন পুরুষ এবং ১৪ হাজার ৮৪০ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মোংলা পোর্ট পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago