সাভারে আ. লীগ মেয়র প্রার্থীর ছেলের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

‘তোরা (সাংবাদিক) এসেছিস কেন এখানে। ২০ কোটি টাকা খরচ করছি নির্বাচনে। এখান থেকে চলে যা। মেরে ফাটিয়ে দেব’, প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের এমন হুমকি দিয়েছেন সাভার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ছেলে।
Savar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

‘তোরা (সাংবাদিক) এসেছিস কেন এখানে। ২০ কোটি টাকা খরচ করছি নির্বাচনে। এখান থেকে চলে যা। মেরে ফাটিয়ে দেব’, প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের এমন হুমকি দিয়েছেন সাভার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ছেলে।

এর কিছুক্ষণ আগেই নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহকারী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র সাভার প্রতিনিধি সাগর ফরাজীকে লাঞ্ছিত করেন বর্তমান মেয়র হাজি আব্দুল গনির ছেলে কামরুল হাসান শাহিন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল ক্যাডেট একাডেমির নারী ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

সাগর ফরাজী বলেন, ‘সকালে সাভারের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কেন্দ্রে নারী ভোটারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে ভিডিও ধারণ করার সময় মেয়র প্রার্থী আব্দুল গণির মেঝ ছেলে শাহিন এসে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি আমার ফোন কেড়ে নেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।’

‘সেসময় অনলাইন নিউজপোর্টালের আরেক সাংবাদিক শুভ্র ভাই আমার সঙ্গে ছিলেন। পরে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন’, বলেন তিনি।

সাংবাদিক শুভ্র বলেন, ‘মেয়রের ছেলে হুট করে এসে সাগরের ফোন কেড়ে নেয়। শুরু করেন গালাগাল। এসময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে শাহিনকে নিয়ে যান এবং পরে তার ফোন ফেরত দিয়ে দেন।’

শাহিনের ব্যবহারে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিব্রতবোধ করছেন বলেও জানান তিনি।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আসলে তেমন কিছু হয়নি। একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।’

ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘শাহিন যার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, তিনি যে সাংবাদিক ছিলেন তা আমি জানতাম না। পরে জেনেছি।’

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুনীর হোসেন খান বলেন, ‘আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

Comments

The Daily Star  | English
Sheikh Hasina's Sylhet rally on December 20

Hasina doubts if JP will stay in the race

Prime Minister Sheikh Hasina yesterday expressed doubt whether the main opposition Jatiya Party would keep its word and stay in the electoral race.

2h ago