ছন্দে তামিম-লিটন, সাকিবকে ছাপিয়ে তিনে উজ্জ্বল শান্ত
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তারা সবাই ভুগেছিলেন। মন্থর ব্যাটিং বোঝাচ্ছিল আড়ষ্টতা। দ্বিতীয় ম্যাচেই তামিম ইকবাল, লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তকে পাওয়া গেল চেনা ছন্দে। ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে খেলেছে তিনজনই। ওয়ানডে সিরিজের আগে পেয়েছেন রান।
বিকেএসপিতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিব আল হাসানের মন্থর ফিফটির জবাব দারুণভাবে দিয়েছেন এই তিনজন। ৮০ বলে ৮০ রান করেছেন অধিনায়ক তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ করেছেন লিটন। তিনে নেমে মাত্র ৫১ বলেই ৬১ করেন শান্ত।
শনিবার ৪৫ ওভারের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের দেওয়া ২২৪ রানের লক্ষ্য ৩৫.২ ওভারেই পেরিয়ে তাই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তামিম একাদশ।
২২৪ রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম-লিটন পান দারুণ শুরু। ওভারপ্রতি প্রায় ৬ রান করে আনতে থাকেন তারা। নিজের ট্রেডমার্ক দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ান লিটন। তামিমকে পাওয়া যায় সাবলীল ভূমিকায়। জুটিতে ৭৭ উঠার পর প্রথম বিপর্যয়। ফিফটির কাছে থাকা লিটন হাসান মাহমুদকে ফিরতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি। ৫৩ বলের ইনিংসে ৪৮ রান করতেই ৯টি বাউন্ডারি এসেছে লিটনের ব্যাটে।
এরপর ক্রিজে এসে দ্রুত রান আনতে থাকেন শান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তিন নম্বরে সাকিব নাকি শান্ত। কে খেলবেন। এই সমাধানও দরকার ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও লম্বা সময়ের বিরতিতে সাকিব নেই নিজের সেরা অবস্থায়।
এদিন ফিফটি পেয়েছেন তিনিও। তবে ৫২ রান করতে তার লেগেছে ৮২ বল। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং দেখিয়ে চলা শান্ত এদিনও ব্যাটে দেখিয়েছেন ঝাঁজ। ৫১ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় করে ফেলেছেন ৬১। তিন নম্বর জায়গার দাবিতে তাই সাকিবকে অনেকটাই ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
অধিনায়ক তামিম ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৮০ বলে ৮০ করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। তাসকিন আহমেদের শিকার হন শান্ত। মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার বাকি কাজ সেরেছেন অনায়াসে। মিঠুন ১৭ বলে ১৭ আর সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১২ রানে।
এর আগে নাঈম শেখের ৬৮ বলে ৫০ আর সাকিবের ৮২ বলে ৫২ রানে ২২৩ রানে করেছিল মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ওই রানকে তামিম-লিটন-শান্ত বানিয়ে দেন একদম মামুলি।
২০ জানুয়ারি থেকে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে নিজেরা ভাগাভাগি করে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান ধুঁকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই জড়তা কাটাতে দেখা গেল তাদের।
Comments