গৃহবধূ সুপ্তি হত্যার তদন্তে নতুন মোড়
দুই মাস আগে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশ বলছে, নিহত গৃহবধূর সাবেক এই প্রেমিকই হত্যাকারী যদিও এখন কারাগারে আছেন নিহতের স্বামী ও ভাসুর।
গ্রেপ্তার জাকের হোসাইন (২৭) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আফজাল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে।
আগে ৪ নভেম্বর রাতে ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিকের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাবা সাধন মল্লিক বাদী হয়ে সুপ্তির স্বামী বাসুদেব চৌধুরী ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এরপর মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দিন প্রতিবেশীরা এক যুবককে বাসা থেকে বের হবার কথা জানায়। এর উপর ভিত্তি করে আমরা তদন্ত শুরু করি। জানা যায় বিয়ের আগে সুপ্তির সঙ্গে জাকেরের সম্পর্ক ছিল। অবস্থান শনাক্ত করে জাকেরকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নিশ্চিন্তাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।’
‘এ ঘটনায় জাকের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে,’ বলেন সন্তোষ।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সুপ্তি এবং জাকেরের পাশাপাশি বাড়ি রাঙ্গামাটিতে। জিজ্ঞাসাবাদে জাকের বলেছে ২০১৪ সালে সুপ্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ তে তারা গোপনে বিয়েও করেন। কিছুদিন সংসার করার পর সুপ্তি তাকে তালাক দিয়ে বাসুকে বিয়ে করে। তবে তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল।’
‘ঘটনার দিন রাতে সুপ্তির ফাঁকা বাসায় জাকের গেলে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সে সুপ্তিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে তার ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়, বলেন সন্তোষ। গ্রেপ্তারের পর জাকেরের কাছ থেকে সুপ্তির মোবাইল দুটি পাওয়া গেছে।
Comments