এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু
সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক এ আদেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রাশিদা সাঈদা খানম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য তদন্ত শেষে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া সরাসরি জড়িত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রভুক্ত সব আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিই এর মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া, ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষায়িত ল্যাবে সবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই প্রতিবেদন গত বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতের কাছে পৌঁছে।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অপরাধ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটি তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও রবিউল হাসানের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজ ছাত্রবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকেও অভিযুক্ত করে একই আদালতে পৃথক চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
Comments