পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আরও বেশি সহিংসতা ও আইন লঙ্ঘন

চার ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত শনিবার। নির্বাচন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে ছিল বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, আইন লঙ্ঘন এবং গোপন কক্ষের বাইরে ইভিএম থাকার খবর। স্থানীয় নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ সবাইকে আনন্দিত করলেও নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে সবার একই অনুভূতি নেই। এবারের প্রচারণার সময়টা আগের বছরগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম সহিংস ছিল। তবে, প্রতিপক্ষের হাতে বিএনপির একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর হত্যার অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দল বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বলতে গেলে দেখাই যায়নি। এর কারণও খুব স্পষ্ট।

চার ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত শনিবার। নির্বাচন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে ছিল বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, আইন লঙ্ঘন এবং গোপন কক্ষের বাইরে ইভিএম থাকার খবর। স্থানীয় নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ সবাইকে আনন্দিত করলেও নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে সবার একই অনুভূতি নেই। এবারের প্রচারণার সময়টা আগের বছরগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম সহিংস ছিল। তবে, প্রতিপক্ষের হাতে বিএনপির একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর হত্যার অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দল বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বলতে গেলে দেখাই যায়নি। এর কারণও খুব স্পষ্ট।

নির্বাচনের দিন যা ঘটেছে তার দুটি ভিন্ন চিত্র আমাদের কাছে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কথা অনুযায়ী, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট গ্রহণ করার মাধ্যমে একটি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে একজন এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বা শান্তিপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তার মতে বিরোধী দলগুলোর এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে খুবই কম ছিল এবং নির্বাচন কমিশন সচিব যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে তার চেয়ে অনেক কম ভোটার উপস্থিতি তিনি দেখেছেন। নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া বক্তব্যটি দেশের অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং বিরোধী প্রার্থী ও ভোটারদের ভয় দেখানোর খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, বিএনপির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, অনেক ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক এবং কর্মীরা দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে, নিয়ম লঙ্ঘন করা ছিল সারা দিনের স্বাভাবিক বিষয়। শনিবারে হয়ে যাওয়া ৬০টি পৌর নির্বাচনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা পুরনো ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখেছি। নির্বাচনের নামে এমন পরিস্থিতি অত্যন্ত লজ্জাজনক। নির্বাচনের ফলাফলও এসেছে পূর্বধারণা অনুযায়ীই। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেশিরভাগ মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।

এটা স্পষ্ট যে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়নি। নির্বাচনের দিন প্রভাব খাটানো ও ভয় দেখানো আগের মতোই চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা মাঠের বাস্তবতা না দেখবেন এবং তাদের শপথ অনুযায়ী সততার সঙ্গে কাজ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হবে না এবং নিছক একটি অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই থেকে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago