হাতিয়ায় ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার ৫
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টা ও স্থানীয় পল্লি চিকিৎসককে নির্যাতনের ঘটনায় হওয়া মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে নির্যাতনের শিকার পল্লিচিকিৎসক ১১ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় মামলা করেন। এর আগে ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে পাঁচ জনের নামে আদালতে মামলা করেছিলেন।
গতকালের মামলার পর রাতেই পুলিশের অভিযানে মামলার ১১ আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় জিয়া বাহিনীর প্রধান প্রকাশ জিহাদ (৩০), ফারুক হোসেন (৩০), আবু তাহের (২৭), নবীর উদ্দিন (৩২) ও আলমগীর হোসেন (৪০)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি রাতে হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নে স্বামীর অনুপস্থিতিতে জিহাদ, তার সহযোগী ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি, নবীর উদ্দিন প্রকাশ, আলমগীর হোসেন, আবু তাহেরসহ ১০-১২ জন ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণচেষ্টা চালায় জিহাদ।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, এলাকার কিছু বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও ওই নারীকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে রোববার বিকেলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারি জরুরিসেবা ৯৯৯ কল পেয়ে হাতিয়া থানাধীন মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও পল্লিচিকিৎসককে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ যে মামলা করেছেন আদালত সেটি আমলে নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম ফারুককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-
Comments