মেহেন্দীগঞ্জে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ১
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিল প্রার্থী-সমর্থকদের হামলায় একজন নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আফসার সিকদার (৫৫) মেহেন্দীগঞ্জের বদরপুর গ্রামের মোতালেব সিকদারের ছেলে। আফসারের ছেলে রাসেল সিকদারের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাকি কাওসার (নিপ্পন তালুকদার) ও তার সহযোগীরা রোববার দুপুরে তার বাবাকে আরসি কলেজের সামনে বেদম পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কালাম জানান, স্থানীয় মানুষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা হাতাহাতির ঘটনার পর রাস্তায় পড়ে মাথায় থ্রি হুইলারের আঘাতে আফসার সিকদার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় এক দোকানের কর্মচারী জানান, নিহতের ভাগ্নে ফয়েজ আহম্মেদের সঙ্গে নিপ্পন তালুকদারের সমর্থকদের হাতাহাতি হলে, ফয়েজ ফোন করে আফসারকে ডেকে আনেন। আফসার আসার পর আরেক দফা হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে আফসার ইট আনতে গেলে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান। স্থানীয়রা তাকে শের-ই-বাংলা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল হক জোমদ্দারের অভিযোগ, নিপ্পন তালুকদারের লোকজন আফসারকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। আফসার আমার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। তিনি আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, মাথায় আঘাতের কারণে রোগী অচেতন ছিল। ময়না তদন্ত ছাড়া সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Comments