ফের পরীক্ষা নিরীক্ষায় সৌম্যের ব্যাটিং পজিশন
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচে ওপেনিংয়ে না হলে তিন নম্বরে খেলেছেন সৌম্য সরকার। মিনি অলরাউন্ডার চিন্তায় কিছু ম্যাচে তাকে নামানো হয়েছিল নিচের দিকে। ফল আসেনি। তবু সৌম্যকে আবারও সেই চিন্তাতেই নিচের দিকে খেলাতে চায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বললেন টপ অর্ডারের ভাবনায় নেই এই বাঁহাতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাই তাকে দেখা যেতে পারে সাত নম্বরে।
আরও পড়ুন- তিন নম্বরে সাকিব নয়, খেলবেন শান্ত
৫৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ৩৩.৮৮ গড় আর ৯৮.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ১৭২৮ রান সৌম্যের। যার বেশিরভাগই এসেছে প্রথম তিন পজিশনে। পাঁচ থেকে সাত এই পজিশনে তিনি খেলেছেন কেবল চার ম্যাচে। সাত নম্বরে ২ ম্যাচে ৩৯, ছয় নম্বরে ১ ম্যাচে ১৯, পাঁচ নম্বরে ১ ম্যাচে করেন ৩ রান।
ওপেন করতে নেমেছেন ৩৮ ম্যাচ। তাতে ৩৩.৯৭ গড়ে ১১১৫ রান তার। ক্যারিয়ার শুরুই করেছিলেন তিন নম্বর পজিশনে। এখানে ১৩ ম্যাচ খেলে ৩৯.৩৮ গড়ে ৫১২ রান সৌম্যের।
সৌম্যের ব্যাটিংয়ের ধরণ বলে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চড়াও হয়ে খেলার সামর্থ্য তার বেশি। শুরুতেই ম্যাচের টোন সেট করে দিতেই বেশি পটু তিনি।
ডমিঙ্গো জানান বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এখন প্রতিষ্ঠিত। তিনে যেহেতু খেলানো হবে শান্তকে, সৌম্যকে তাই নামতে হবে নিচে, ‘লিটন-তামিমের ওপেনিং জুটি নিয়ে এই মুহূর্তে টপ অর্ডার মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। আমরা সৌম্যকে মিডল অর্ডারে দেখতে চাই। ইনিংসের শেষ দিকে আমাদের একজন পাওয়ার হিটার দরকার। আবার কিছুটা বোলিংও পাওয়া যাবে।’
টপ অর্ডারে সুযোগ না পেলে এই পজিশনেরই ব্যাকআপ হতে পারতেন সৌম্য। যেহেতু এই জায়গাই তার আদর্শ। কিন্তু তা না করে তাকে কেন নিচের দিকে খেলানোর চিন্তা করা হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘আমি জানি সৌম্য বরাবর টপ অর্ডারে খেলে আসছে। কিন্তু এরকম জায়গায় (সাত নম্বরে) আমাদের একজন ফিট করা দরকার।’
অবশ্য এই অর্ডার এখনই স্থায়ী নয়। বিশ্বকাপের আগে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আসল সমন্বয় খুঁজে নেবেন ডমিঙ্গো, ‘সবাই ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় খেলবে, পরে বিশ্বকাপ যখন আসবে তখন আমরা আমাদের চূড়ান্ত একটা ব্যাটিং অর্ডার খুঁজে পাব।’
ছয় নম্বরে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ। এরপরেই সাতে সৌম্যকে খেলানোর কথা বলেন কোচ। কঠিন এই ভূমিকার জন্য সৌম্যকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ারও চিন্তা তার, ‘ এই মুহূর্তে রিয়াদের সঙ্গে মিলে সৌম্যকে ইনিংস শেষ করতে দেখতে চাই। তার অভিজ্ঞতা আছে এবং বল হিট করতে পারে ভাল। তার ব্যাটিংয়ের প্রতি আমার ভরসা আছে। আশা করি সে ভালো নৈপুণ্য দেখাবে। ৬ বা ৭ নম্বরে ভূমিকাটা কঠিন। কখনো কখনো আপনাকে ওভারপ্রতি ১০ রান করে নিতে হবে। কখনো আবার ৫০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর আসতে হবে। এটা কঠিন পরিস্থিতি। এই পজিশনে তাকে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে।’
Comments