মেসি-রোনালদোর তুলনায় যা বললেন আর্থুর

সময়ের দুই সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে একত্রে খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম খেলোয়াড়েরই হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থুর মেলো। আর এ কারণে মেসি ও রোনালদোর মধ্যে পার্থক্যটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন তিনি। সম্প্রতি দেসিমপেদিদোসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাই বলেছেন এ তরুণ।

স্বদেশী ক্লাব গ্রামিও থেকে ২০১৮ সালে বার্সেলোনায় নাম লেখিয়ে ছিলেন আর্থুর। ছিলেন দুই মৌসুম। এ সময়ে খুব কাছে থেকেই মেসিকে দেখেছেন তিনি। এরপর চলতি মৌসুমের শুরুতে যোগ দেন জুভেন্টাসে। যদিও ইচ্ছে করে নয়। কাতালান ক্লাবটির আর্থিক ঘাটতির কারণে বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে তুরিনের ক্লাবটিতে বেশ সুখেই আছেন তিনি। কাছ থেকে দেখছেন রোনালদোকে।

আর্থুরকে এ দুই তারকার মধ্যে তুলনা করতে বলেছিল দেসিমপেদিদোস। তার জবাবে এ ব্রাজিলিয়ান বলেন, 'ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নিজেকে মেসির চেয়ে বেশি প্রকাশ করে এবং ড্রেসিংরুমে সে সবার সঙ্গেই কথা বলে। ড্রেসিংরুমেও সে অনেক সক্রিয়। সবার সঙ্গে কথা বলেন এবং সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন। সম্ভবত আমরা একই ভাষায় কথা বলি বলেই এটা সহজ হয়ে গেছে।'

মেসির ধরনটা আলাদা উল্লেখ করে আরও বলেন, 'নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য প্রতিটি মানুষের নিজস্ব আলাদা পদ্ধতি থাকে। মেসি তার নিজের মতো করেন, যতটা মনে হয় তিনি করেন না। সে বল নিয়ন্ত্রণ করায় বেশি মনযোগী, বল নিয়ে সে ম্যাচ জিততে চায় এবং সব সতীর্থরা এটা চেয়ে দেখে।'

তবে দুই জনের মধ্যে যদি একজনকে বেছে নিতে হয় তাহলে কাকে বেছে নিবেন? এমন প্রশ্নে অবশ্য কোনো দ্বিধা রাখেননি আর্থুর। বর্তমান সতীর্থকেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি, 'আমি ক্রিস্তিয়ানোকে বেছে নিব, কারণ আমরা একসঙ্গে খেলছি। আমি রোনালদোর অতটা কাছের নই যে তার বাসায় গিয়ে একসঙ্গে কফি খাব, তবে আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'

'সতীর্থের যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় ক্রিস্টিয়ানো কখনোই পিছপা হন না। এবং তিনি সর্বদা দৃঢ় সংকল্পের জন্য তার কাছে পৌঁছে যান। সে জন্তুর মতো অনুশীলন করে, সে জানে না কখন বিশ্রাম নিতে হয় এবং আপনাকে আপনার সবটা দিতে উৎসাহ দিবে। সে সবসময়ই আমাকে বলে কি খেতে হবে, কি খেতে হবে না। কোনো কিছুই বাদ দেয় না।' - যোগ করে আরও বলেন এ ব্রাজিলিয়ান।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

1h ago