চট্টগ্রাম

নির্বাচন নয়, ইট-বালির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ কর্মী রোহিতকে হত্যা: পুলিশ

নির্বাচনী বিরোধ নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিতকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নির্বাচনী বিরোধ নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিতকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী বিরোধের কারণে রোহিত খুন হননি। এলাকাভিত্তিক ক্লাবের আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম বাবু ও পলাতক সাহাবুদ্দিন সাবু তাকে ছুরিকাঘাত করে, আর পরিকল্পনাকারী ছিলেন মহিউদ্দিন।’

‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোহিত তার ওপর হামলার বিবরণ দিয়েছেন। যেখানে এই তিনজনের নাম বলেছেন তিনি,’ বলেন মেহেদী।

ডিসি মেহেদী আরও বলেন, ‘হামলার পর মহিউদ্দিন, বাবু ও সাবু পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার এড়াতে মহিউদ্দিন দাড়ি ছেঁটে ফেলেন এবং বাবুও চলাফেরা পরিবর্তন করেন। ঢাকা থেকে তারা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।’

তিনি জানান, ঢাকার মুগদার মাদারটেক নিউ মদিনা আবাসিক এলাকা থেকে মহিউদ্দিন এবং মিরপুর থেকে বাবুকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওমর গণি এমইএস কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী রোহিত।

গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে দেওয়ানবাজার ভরাপুকুরপাড় সংলগ্ন কেডিএস গলি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

তার মৃত্যুর পর অনেকেই অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

রোহিতকে হামলার পরদিন তার বড় ভাই জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে মহিউদ্দিন (৩৫), সাইফুল ইসলাম বাবু (২১) ও সাহাবুদ্দিন সাবুকে (২৬) আসামি করে নগরীর বাকলিয়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে পুলিশ মহিউদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে।

পরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দুই আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্র জানায়।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর রোহিতকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে দেওয়ানবাজার ভরাপুকুরপাড় সংলগ্ন কেডিএস গলিতে নিয়ে নিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে বসা অবস্থায় ছুরিকাঘাত করা হয়।’

ওসি নেজাম জানান, এরা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কয়েকজন পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

49m ago