দেওয়ানি মামলার জট কমাতে সংসদে সংশোধিত বিল

দেওয়ানি মামলার জট কমাতে আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আইন সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ শীর্ষক বিলটি উপস্থাপন করেন।
সংসদ ভবন
ফাইল ফটো

দেওয়ানি মামলার জট কমাতে আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আইন সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ শীর্ষক বিলটি উপস্থাপন করেন।

বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পূর্বের তুলনায় সম্পত্তির মূল্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। যে কারণে জাতীয় সংসদে দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ পাস হয়েছিল। তাতে সহকারী জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ, সিনিয়র সহকারী জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজ-এর আর্থিক এখতিয়ার পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে অনধিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মূল মোকদ্দমায় যুগ্ম জেলা জজের দেওয়া ডিক্রি বা আদেশ থেকে উদ্ভূত হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন কোনো আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়। পরবর্তীতে মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধানের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০১৬ এর কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

তিনি বলেন, অনধিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মূল মোকদ্দমায় যুগ্ম জেলা জজের দেওয়া ডিক্রি বা আদেশ থেকে উদ্ভূত হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন কোনো আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ। এ ছাড়া, প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। যে কারণে দ্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭ সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সরকার।

দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ শীর্ষক বিলটিতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর না করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা জজের আপিল শুনানির বৃদ্ধি করা আর্থিক এখতিয়ার একই রেখে দ্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭ এর ২১ ধারাকে প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সহকারী জজের ১৫ লাখ এবং সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার হবে ২৫ লাখ টাকা। তবে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন অনুর্ধ্ব ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের মোকদ্দমা উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে স্থানান্তরের বিধান রেখে দ্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭ এর ১৯ ধারাকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago