আকিলের ঘূর্ণির শিকার লিটন-শান্ত

liton das
ফাইল ছবি

বোলারদের সৌজন্যে লক্ষ্যটা বড় হয়নি। মাত্র ১২৩ রানের। দেখে শুনে ব্যাট করলেই চলে। আর ঠিক সে কাজটিই করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে আকিল হোসেনের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত মনঃসংযোগ ধরে রাখতে পারেননি লিটন। এরপর ফিরে গেছেন নাজমুল হসেন শান্তও। ফলে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছে ক্যারিবিয়ানরা।

৪৭ রানের অপেনিং জুটি গড়ার পর আকিল হোসেনের জাদুকরী একটি ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান লিটন। আকিলের মিডল স্টাম্পে রাখা বলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙ্গে খেতে চেয়েছিলেন এ ওপেনার। কিন্তু বাঁক খেয়ে বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ফলে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। ৩৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৪ রান করেন এ ওপেনার।

তবে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন শান্ত। আকিলের আরেকটি দারুণ ডেলিভারি কব্জির মোচরে ঘোরাতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ না হলে সহজ ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে দাঁড়ানো অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদের হাতে। বল তালুবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি তিনি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ৫৮ রান। ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান অপরাজিত আছেন ০ রানে। জিততে হলে এখনও ৬৫ রান করতে হবে টাইগারদের।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে পড়ে উইন্ডিজ। দুই ওপেনার সুনিল আমব্রিস ও জশুয়া ডি সিলভাকে ফেরান কাটার মাস্টার। আমব্রিসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। তবে গালিতে ডি সিলভার অসাধারণ ক্যাচ নেন লিটন দাস।

মোস্তাফিজ পর্ব শেষ হতে মঞ্চে আসেন সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা এ অলরাউন্ডার এর আগে ঘরোয়া আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঠিকই নিজের জাত চেনান। টানা তিনটি উইকেট তুলে উইন্ডিজের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনিই।

আন্দ্রে ম্যাককার্থিকে বোল্ড করার পর ক্যারিবিয়ান শিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি দেন সাকিবই। দলীয় অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদকে ফেরান তিনি। তাকে ফেলেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। এরপর এনক্রুমা বনারকেও আউট করেন সাকিব। ফলে ২০ ওভারের আগেই ক্যারিবিয়ানদের পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে বড় চাপে পড়ে দলটি।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে রভমান পাওয়েলের সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে দলকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দেওয়ার লড়াইয়ে নামেন কাইল মেয়ার্স। ৫৯ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ একশ পার করেন তারা। এ জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। পর পর দুই বলে দুটি উইকেট তুলে তৈরি করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও।

এরপর মেয়ার্সকে মেহেদি হাসান মিরাজ স্লিপে লিটনের ক্যাচে পরিণত করলে কার্যত ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের প্রতিরোধ। বাকি দুটি উইকেট হাসান ও সাকিব ভাগাভাগি করেন নেন। ফলে ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

4h ago