পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জমি না থাকায় পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জমি না থাকায় পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শহর চারদিকে দ্রুত গতিতে প্রসারমান। এদিকে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নতুন নতুন চাহিদার বিপরীতে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা কূটনৈতিক জোনে পর্যাপ্ত জমির সংকুলান করা খুব কঠিন। এ অবস্থায় পূর্বাচলে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নির্ধারিত কূটনৈতিক জোন গড়ে তোলা প্রয়োজন হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় সব দূতাবাস/হাইকমিশন অফিস স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি দূতাবাস/হাইকমিশনের জমির চাহিদা রয়েছে। তবে জমির অপ্রতুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় চলছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনো ১০টি বিদেশি দূতাবাসের প্লটের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। বিশেষত ব্রাজিল, শ্রীলংকা, ওমান, কুয়েত, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান তাদের দূতাবাস স্থাপনের সূচনালগ্ন থেকেই এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া, ঢাকায় অবস্থিত ৫০টি কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত অথবা নিজস্ব কেনা জমি ব্যবহার করছে না, তারাও আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।’

রাজউক’র তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ইতোমধ্যেই একটি ডিপ্লোম্যাটিক জোন করা হয়েছে।

নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি চেয়েছে। হাঙ্গেরির আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা মোকাবিলায় আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কোনো আইন সহায়তা কেন্দ্র নেই। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে কোনো অনাকাংঙ্ক্ষিত সমস্যা সমাধান করতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago