সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি

মার্কিন সিনেটে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
Donald Trump.jpg
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

মার্কিন সিনেটে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেটে বিচার শুরু হলে তাতে ট্রাম্পের আইনি দল প্রস্তুত হওয়ার জন্য আরও সময় পাবে। পাশাপাশি, ডেমোক্রেটরাও সিনেটে কোভিড-১৯ বিল পাস এবং নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্ত্রিসভা নিশ্চিত করার মতো সময় পাবেন।

আগামী সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটরা অভিশংসন প্রস্তাব (আর্টিকেল অব ইমপিচমেন্ট) সিনেটে হস্তান্তর করবেন। তবে, সিনেট মেজোরিটি লিডার চাক শুমার ও মাইনরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল ফেব্রুয়ারিতে ট্রায়াল শুরুর সময় নির্ধারণ করবেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রায়ালের সময়সূচি ঘোষণা করে চাক শুমার জানান, এটি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের অভিশংসন ট্রায়ালের সময় ও কাঠামো নির্ধারণের প্রচেষ্টায় আমাদের ভালো অগ্রগতি হয়েছে।’

জানা গেছে, বিচারের আনুষ্ঠানিক কাজগুলো আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। সোমবার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে, মঙ্গলবার সিনেটররা বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তারপরে বিচার দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত হবে। এ সময়ের মধ্যে হাউসের আইন প্রণেতারা ও ট্রাম্পের আইনি দল, উভয়ই ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুতি নেবে। অভিশংসন নিয়ে শুনানি শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।

শুক্রবার সিনেট রিপাবলিকানরা জানান, সিনেটে একইসঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুমোদন ও ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া একসঙ্গে চালাতে তারা রাজি নন। বিচার নিয়ে সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের বিভক্তির পর অবশেষে শুমার ও ম্যাককনেলের মধ্যে বিস্তর আলোচনার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতেই এর তারিখ নির্ধারণ হয়েছে।

অভিশংসনের বিচার কিছুটা দেরিতে হলে তা ডেমোক্রেটদের পক্ষেও সুবিধাজনক। কারণ এই বিচার চলতে থাকলে বাইডেনের মন্ত্রিসভার অনুমোদন আটকে যেতে পারে। অন্যদিকে, বাইডেনের প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে হাউস সদস্যদের মধ্যে আলোচনাও পিছিয়ে যেত।

ক্ষমতার শেষ সপ্তাহে এসে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৬ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন ‘হামলা উসকে দেওয়া’র অভিযোগে অভিশংসিত হন তিনি।

প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভ) অভিশংসনের প্রস্তাবের পর উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ১০০ সদস্যের সিনেটে এখন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের সংখ্যা সমান সমান। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি দিলে তবেই ট্রাম্প মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য হবেন। ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিনেটের কমপক্ষে ১৭ জন রিপাবলিকানকে অভিসংশনের পক্ষে ভোট দিতে হবে।

সিনেটের এক দল রিপাবলিকান ইতোমধ্যেই যুক্তি দেখিয়েছে যে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার অভিশংসন নিয়ে বিচার অসাংবিধানিক।

তবে শুমার জানান, উদারপন্থি ও রক্ষণশীল— উভয় দিকের আইনি পন্ডিতই বলেছেন যে একজন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের ট্রায়াল হওয়ার নজির রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু হবে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল হবে, একটি সুষ্ঠু ট্রায়াল হবে। এ নিয়ে ভুল কিছু ভাবার সুযোগ নেই। ট্রায়াল হবে, ট্রায়াল শেষে সিনেটররা সিদ্ধান্ত নেবেন যে ডোনাল্ড জন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্ররোচিত করেছে কি না?’

আরও পড়ুন:

আবারও অভিশংসিত ট্রাম্প

বাইডেনের শপথের আগে ট্রাম্পের অভিশংসন, যা হতে পারে

অভিশংসনের প্রস্তাব ‘হাস্যকর’, আরও সহিংসতা হতে পারে: ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা: এ যুদ্ধের শেষ কোথায়?

হামলাকারীদের পরিচয়

জিমি কার্টার, ক্লিনটন, বুশ ও ওবামার নিন্দা

ট্রাম্পকে অপসারণের আহ্বান মার্কিন ব্যবসায়ীদের

হামলাকারীদের ফ্লাইটে নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন এয়ারলাইন্স ইউনিয়নের

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘কালো দিন’

ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলও স্থগিত

ট্রাম্পকে ব্লক করল ফেসবুক-টুইটার

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন হামলা’: বাইডেন

ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা: ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফের পদত্যাগ

ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সিনেট অধিবেশন আবার শুরু

নিহত ৪: ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

ছবিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

Comments

The Daily Star  | English

Gaza deaths rise to 15,899, 70% of them women, children

The health ministry in the Gaza Strip today said 15,899 people had died in the Palestinian territory since the start of the Israeli attack, with 42,000 wounded

37m ago