ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তের হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই জামাল মুন্সী (৪৮) দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও আট জন। আজ শনিবার দুপুরে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে। ভোররাত ১টার দিকে উপজেলার চরচারতলা গ্রামে জামাল মুন্সী হামলার শিকার হন। পরবর্তী দ্বন্দ্ব-সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
হানিফ মুন্সী দাবি করেছেন, তার ভাই প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমেই আমার ভাই জামাল মুন্সী বাড়ি থেকে বের হওয়ায় হামলাকারীরা তাকে হত্যা করে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জাবেদ মাহমুদ বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে চরচারতলা ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি দোকানে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সীর ছোট ভাই মোমিন মুন্সীর সঙ্গে স্থানীয়় ইউপি সদস্য সাদ্দাম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই বিষয়টি জানতে পেরে হানিফ মুন্সী ঘটনাস্থলে গিয়ে মীমাংসা করে দেন। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন। রাত ১টার দিকে সাদ্দাম মিয়ার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হানিফ মুন্সীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে জামাল মুন্সী টেঁটাবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি— বলেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে সাদ্দাম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments