নায়করাজের জন্মদিনে আলোচিত ৫ সিনেমার কথা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নায়করাজ রাজ্জাক এক অতি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তাকে বাদ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস কল্পনা করাও সম্ভব নয়। আজ তার জন্মদিন।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন তিনি। বেঁচে থাকলে আজ ৮০ বছরে পা রাখতেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান নায়করাজ।

১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রাজ্জাকের। সে সময় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও ‘বেহুলা’ই তার প্রথম সুপারহিট ছবি। রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- এতটুকু আশা, নীল আকাশের নিচে, জীবন থেকে নেয়া, নাচের পুতুল, পিচঢালা পথ, আবির্ভাব, অনন্ত প্রেম, দ্বীপ নেভে নাই, টাকা আনা পাই, রংবাজ, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা, বড় ভালো লোক ছিলো, চন্দ্রনাথ, বেঈমান, শুভদা, যোগাযোগ, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, অভিযান ইত্যাদি।

নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান ‘কী যে করি’ সিনেমার জন্য। এরপর চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১২ সালে পেয়েছেন দ্য ডেইলি স্টার- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জীবনের জয়গান উৎসব আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।

নায়করাজ অভিনীত সেরা পাঁচ চলচ্চিত্র

ছুটির ঘণ্টা

ছোটদের সিনেমা হিসেবেই পরিচিত ‘ছুটির ঘণ্টা’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আজিজুর রহমান। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে আটকে পড়ে ১২ বছর বয়সের এক ছাত্র। সেখানেই দীর্ঘ ১১ দিন কাটে। ছবিতে দারোয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এতে আরও অভিনয় করেছেন শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর, এটিএম শামসুজ্জামান ও শিশুশিল্পী সুমন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

অনন্ত প্রেম

১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় ‘অনন্ত প্রেম’ ছবিটি। রাজ্জাক-ববিতা জুটির দারুণ ব্যবসা-সফল সিনেমা এটি। ছবিতে আরও ছিলেন আনোয়ারা, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান, ব্ল্যাক আনোয়ার প্রমুখ। ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন আজাদ রহমান।

রাজ্জাক পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘অনন্ত প্রেম’ ছবির মাধ্যমে। বিয়োগান্ত প্রেমের গল্পের এই ছবিতে গল্পের শেষে নায়ক-নায়িকা দুজনই মারা যান। নায়িকার সঙ্গে চুমুর একটা দৃশ্য ছিলো ছবিতে। ১৯৭৭ সালে এমন দৃশ্য মোটেই সহজ ছিলো না।

বেঈমান

রাজ্জাক অভিনীত আলোচিত ও সফল ছবি ‘বেঈমান’। ছবিতে তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কবরী। ছবির গানগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ‘বেঈমান’ পরিচালনা করেন রুহুল আমিন। ২০১৩ সালে ছবিটি রিমেকের ঘোষণা এলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো অগ্রগতি কিছু চোখে পড়েনি।

বড় ভালো লোক ছিলো

‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুশ’ কিংবা ‘তোরা দেখ, দেখ রে চাহিয়া’ গানগুলো যারা শুনেছেন তারা জানেন ছবিটির নাম। ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। ছবিটি রাজ্জাককে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়। ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন প্রবীর মিত্র, অঞ্জু ঘোষ।

রংবাজ

১৯৭৩ সালে জহিরুল হক পরিচালিত ছবিটির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে রাজ্জাক আত্মপ্রকাশ করেন। ছবির ‘হৈ হৈ হৈ রঙিলা’, ‘সে যে কেন এলো না’ গান দুটো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বাংলা চলচ্চিত্রের বদলে বড় ভূমিকা রাখে ছবিটি। রোমান্টিক ইমেজ ভেঙে অ্যান্টি-হিরোর নতুন ইমেজ দাঁড় করান তিনি। এ ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন কবরী।

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago