যারা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল, চিনিকল বন্ধ করে দিচ্ছে তারাও কি রাজাকার নয়, প্রশ্ন ফজলে হোসেন বাদশার
বাংলাদেশের ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ১১ পরিবার ঢাকায় কারখানা করে লাভের টাকা পাকিস্তানে পাচার করতো। তাদেরকে আমরা রাজাকার বলি, দেশের দুশমন বলি। কিন্তু যারা স্বাধীন বাংলাদেশের পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ করে দিচ্ছে তারাও কি রাজাকার না, তারা কি জাতীয় শত্রু না? অবশ্যই তারা জাতীয় শত্রু।’
তিনি বলেন, ‘শিল্প কলকারখানা রক্ষা করা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলোয় লাভ এবং লোকসানের বিবেচনা করবো না। এগুলো সচল রাখবো জনস্বার্থে, জনগণের জীবিকার জন্য”।
সরকারকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে চিনিকল এবং পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার আহ্বান জানান ফজলে হোসেন বাদশা।
রবিবার দুপুরে নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজ অডিটোরিয়ামে আখচাষী সমিতি, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের দুর্নীতি আর অসাধু চিনি ব্যবসায়ীদের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৪টি চিনিকল লোকসানে পড়ছে বলে মন্তব্য করে রাজশাহী-২ আসনের এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, দেশের চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন এবং উন্নত প্রযুক্তির সংযোজন করা হয়নি। এদেশের চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়নের জন্য চীন, জাপান থাইল্যান্ড প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু তাদের সহায়তা নেয়া হয়নি।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘সুগার করপোরেশন এবং বিজেএমসির কতিপয় কর্মকর্তা এবং এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চিনিকল এবং পাটকলের সম্পদ আত্মসাতের জন্য ষড়যন্ত্র করে শিল্প কারখানাগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, নাটোর জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানসহ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীরা।
প্রতিনিধি সভায় দেশের ১৫টি চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারীরা অংশ নেন। সভায় আখ চাষী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী দেশের চিনিকলগুলো রক্ষা, বন্ধ চিনিকল চালুসহ ৯ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
Comments