দেশে উৎপাদিত আরটি-পিসিআর কিট অনুমোদন

করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে উৎপাদিত আরটি-পিসিআর কিটের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
প্রতীকি ছবি। আরটি-পিসিআর মেশিন। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে উৎপাদিত আরটি-পিসিআর কিটের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ওএমসি হেলথ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের উৎপাদিত এই কিট গত ৩ জানুয়ারি অনুমোদন পেয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের তৈরি কিট ৯৮ শতাংশ নির্ভুলভাবে কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে সক্ষম।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ওএমসি হেলথ কেয়ারের তৈরি আরটি-পিসিআর কিট উত্পাদন ও বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহের জন্য অনুমোদন দিয়েছি। কার্যকারিতা পরীক্ষায় তাদের কিট পাশ করেছে এবং আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি ফলাফল মূল্যায়ন করে এই কিটের অনুমোদন দিয়েছে।’

আরটি-পিসিআর কিট অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নির্দেশিকা মেনে চলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

ওএমসি হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তার জানান, তাদের এই কিট পরীক্ষা করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের আরটি-পিসিআর কিটটি ভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ সফলভাবে সনাক্ত করতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, ‘এই কিটটি সঠিকভাবে কোভিড-১৯ শনাক্ত এবং ক্লিনিকাল ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হতে পারে। ওএমসি হেলথ কেয়ারের কিট ব্যবহার করে (কোভিড-১৯ পরীক্ষার) প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।’

ওএমসি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজবাহুল কবির বলেন, ‘প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট তৈরির সক্ষমতা এখন আমাদের আছে। প্রয়োজন হলে এই সক্ষমতা আমরা বাড়াতে পারব। কিটগুলোর সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্পাদন লাইন ব্যবহার করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

2h ago