এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচারের প্রথম দিনেই পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
সাক্ষীদের অনুপস্থিতি ও বাদীপক্ষের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর সাঈদা রাশিদা খানম।
পাবলিক প্রসিকিউটর সাঈদা রাশিদা খানম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি এই মামলায় ৮ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে আজ রোববার মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে বাদীপক্ষ এ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিনতাইয়ের একটি মামলাও একই আদালতে পরিচালনার জন্য আবেদন করেন।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক বাদীপক্ষের এ আবেদন খারিজ করে দেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকার্যক্রম শুরুর নতুন তারিখ ঠিক করেন আদালত।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা দায়ের হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর গয়না, টাকা এবং স্বামীর গাড়িও ছিনতাই করে অভিযুক্তরা।
এসব ঘটনার তদন্ত শেষে গত ৩ ডিসেম্বর ৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
চার্জভুক্ত আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মাসুম, মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন।
তাদের সবাইকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং তারা সবাই বিচারিক আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া, ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষায়িত ল্যাবে সবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই প্রতিবেদন গত বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতের কাছে পৌঁছে।
Comments