ভারত-অস্ট্রেলিয়া হলেও একই মানসিকতায় বল করতেন এ তরুণ

দলের সেরা তারকাদের কেউই নেই। প্রথম ম্যাচে তো ছয় জনের অভিষেকই হয়েছে। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন আরও একজন। এমন দুর্বল উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই হেসে খেলে জয় পেয়েছে টাইগাররা। দুর্বল দল পেয়েই যেন দূর্বার বাংলাদেশ। তবে তরুণ হাসান মাহমুদ এমনটা মানছেন না। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে একই মানসিকতা নিয়ে খেলতেন বলে জানান এ তরুণ পেসার।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলে কিংবা পাইপলাইনে যে সকল পেসার আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা হাসান। লাইন-লেংথে দারুণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গতিটাও নজরকাড়া। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে তার আগ্রাসন নিয়ে। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে যা খুব একটা দেখা যায় না। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, দুর্বল উইন্ডিজকে পেয়েই কি এমন আগ্রাসী এ তরুণ?
ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষেও একই মানসিকতা বজায় থাকতো, এমন প্রশ্নে হাসান বলেন, 'জ্বী, অবশ্যই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে অবশ্যই এরকম মানসিক শক্তি দরকার, যেরকম লাগে আরকি...। তো অবশ্যই চেষ্টা থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক ঘরোয়া ক্রিকেট হক লাইন, লেংথের সাথে কোনো আপোষ করা যাবে না, পাশাপাশি গতি নিয়েও। সবমিলিয়ে চেষ্টা করবো।'
অভিষেক ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন হাসান। ২৮ রানের খরচায় পেয়েছিলেন ৩টি উইকেট। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচটা সে অর্থে ভালো হয়নি। কিছুটা খরুচে ছিলেন। ৯ ওভারে ৫৪ রান খরচ করে পেয়েছেন ১টি উইকেট।
তবে সবমিলিয়ে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স হাসানের। আর এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান এ তরুণ। পাশাপাশি গতি আরও বাড়ানোর কাজ করছেন তিনি, 'প্রকৃতপক্ষে জিনিসটা হল প্রসেস আরকি। দিন দিন আপনি কি করছেন, কতটুকু কাজ করছেন, কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করছেন নিজেকে, এটার উপর ভিত্তি করে গতিটা দিন দিন বারতে থাকে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।'
এছাড়া সুইং নিয়েও কাজ করতে চান এ তরুণ, 'এটা আসলে কারো কারো জন্য স্বাভাবিক আবার কেউ নিজেরা করে। এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো। চেষ্টা করবো লাইন, লেংথ ঠিক রাখতে ছোট খাটো সুইং করাতে।'
Comments