গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারের বিদায় করব: মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ১৯৬৯-এর মতো আর একটি গণঅভ্যুত্থান এখন লাগবে। গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারের বিদায় করব৷
মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ১৯৬৯-এর মতো আর একটি গণঅভ্যুত্থান এখন লাগবে। গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারের বিদায় করব৷

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তা পাকিস্তানের শাসনকে ভেঙে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল, আজ সেই দিন। যে গণঅভ্যুত্থান থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হিসেবে জন্ম হয়েছিল, সেই সরকার কি আজকের এই দিনের কথা মনে রেখেছে? রাখেনি। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন আজ নিজে টিকা না দিয়ে জনগণকে বলেন। এই টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন? নিজেদের জানের ভয় আছে, জনগণের প্রতি কোনো দরদ নেই কেন? এই টিকা নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। কোটি টাকা দুর্নীতি লুট করছেন, পদ্মা সেতুর একেকটা স্প্যান বসিয়ে বিশাল প্রচারণা করছেন। কত টাকার দুর্নীতি করছেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারা কারা বিদেশে টাকা পাঠান, তিনি জানেন, কেন তাদেরকে কিছু বলেন না? এই দুর্নীতি রোধ করতে হবে। এই লিস্ট বের করব, তৈরি হোন।

সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ১৬ বছরের মতিউররা জীবন দিয়ে দিয়ে পাকিস্তান সরকার আইয়ুব খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পেরেছিলেন, আজকে যা আমরা এখনো পারিনি। সবকিছুতে যেভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, দুই ডলারের টিকা পাঁচ ডলারে আনা হচ্ছে, এই দুর্নীতির ভাগবাটোয়ারার টাকা কারা কারা পায় আমরা জানি না। বিনা টেন্ডারে ১২০০ কোটি টাকা দিয়ে দেয় সরকার।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের থেকে বেরিয়ে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার জন্য রাস্তায় নামব। জনগণের জন্য আবারও এখান থেকে আমি দাবি করছি, এই দেশের সকল জনগণকে বিনামূল্যে করোনার টিকা দিতে হবে, এটি আমাদের অধিকার।

নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম বলেন, সরকারের অপশাসনে সবাই অতিষ্ঠ, সবাই কথা বলতে চায়, নাগরিক ঐক্যের আন্দোলনের ডাকে সবাই এগিয়ে আসুন।

নাগরিক যুব ঐক্যের সমন্বয়ক এস এম এ কবীর হাসান বলেন, ভোট ডাকাতি করে, অর্থসম্পদ লুট-চুরি করে, মানুষের সম্মান-সম্ভ্রম এই অবৈধ সরকার এতটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে আজ জনগণ তাদের সাথে কথা বলে না। তারা পদ্মা সেতুর সঙ্গে কথা বলতে যায়। স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে আত্মদানকারী শহিদ মতিউর, রুস্তম, মকবুল, আসাদদের জিজ্ঞাসা করুন, নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, এই দেশের জনগণ কী চায়। জনগণ আপনাদের ঘৃণা করে, অন্যায় শাসন থেকে মুক্তি চায়।

নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ফেরদৌসী আক্তার বলেন, এই সরকার সব মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, এখান থেকে আমাদের মুক্তির পথ আন্দোলন।

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আজ যে দুর্নীতির শাসন চলছে তা থেকে জনগণের মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে একমত হয়ে পাশাপাশি থেকে আন্দোলন করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago