কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট

ঘন কুয়াশায় স্থবির উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

কুয়াশা উপেক্ষা করে খেটে খাওয়া মানুষকে কাজের খোঁজে ঘরের বাইরে বরে হতে হচ্ছে। ছবি: দিলীপ রায়

শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের জনজীবন।

রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ফলে, চারদিক ঢেকে থাকছে ঘন কুয়াশায়। সূর্যের দেখাও মিলছে না দুপুরের আগে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। তবে, খেটে খাওয়া মানুষকে কাজের খোঁজে ঘরের বাইরে বরে হতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে রাস্তায় যাত্রী না থাকায় আয় কমেছে রিকশা ও ইজিবাইক চালকদের। ঘন

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাকোয়া গ্রামের কৃষক বাসেদ মিয়া (৫৮) জানান, শীত পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু, ঘন কুয়াশার কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না। তবে, জমিতে ফসলের পরিচর্যা করতে হচ্ছে এখন। তাই বাধ্য হয়ে তাকে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেই বাইরে বের হচ্ছি।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ গ্রামের কৃষক আজগর আলী (৬৫) জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের বাড়ছে না। এ রকম কুয়াশা আর কয়েকদিন চলতে থাকলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ জানান, শীতে ফসলের তেমন ক্ষতি হয় না, তবে ঘন কুয়াশার কারণে ক্ষতি হয়। কুয়াশার পরে সূর্যের আলো থাকলে ফসল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ড কিপার সুবল চন্দ্র রায় জানান, আজ সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ঘন কুয়াশা পড়ছে।

Comments

The Daily Star  | English

How is the economy doing?

The silver lining is that the economy isn’t falling apart

1h ago