উচ্ছেদ অভিযান: ডিএনসিসির মেয়রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন

আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও রাজধানীর মিরপুর-১১ এ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে।
ছবি:শাহীন মোল্লা

আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও রাজধানীর মিরপুর-১১ এ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে।

উচ্ছেদের বিষয়ে চেম্বার বিচারকের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার মাসুদ আলম, মো. জীবন ও মো. নাদের হোসেন এ পিটিশন করেন।

ডিএনসিসি মেয়র ছাড়া অন্যরা হলেন--ডিএনসিসির চিফ এস্টেট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ডিএমপি উপকমিশনার (মিরপুর অঞ্চল) মাহতাব উদ্দিন, ডিএনসিসি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রউফ ও মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী।

আবেদনকারীদের আইনজীবী সাগির হোসেন লিয়ন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি আদালতের আদেশ অমান্য করে আবেদনকারীদের বিহারি ক্যাম্প থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা আদালতের আদেশ দেখালেও, উচ্ছেদকারীরা তার কোনও মূল্যায়ন করেনি।

এটা অবশ্যই আদালত অবমাননা এবং আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হতে পারে বলে জানান তিনি।

আবেদনের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত শুনানির পর, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আগামী ১১ এপ্রিল এর শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।

আইনজীবী সাগির হোসেন লিয়ন বলেন, ২০১৮ সালে একটি রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ বিহারি ক্যাম্প উচ্ছেদ করার বিষয়ে একটি রায় দেন।

এরপর, ক্যাম্পের বাসিন্দারা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেন। পরে, ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ জারি করেন।

এর ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর শীর্ষ আদালতের চেম্বার বিচারক এ বছরের ২ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আরেকটি আদেশ জারি করেন।

আইনজীবী বলেন, রিট পিটিশনে উল্লেখ করা অভিযুক্তরা এর মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন এবং চেম্বার বিচারকের আদেশ অমান্য করে ১৫০টি দোকানসহ প্রায় ৩০০টি ঘর ভেঙে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আবেদনে আদালত অবমাননার বিষয়ে একটি রুল জারি এবং এ বিষয়ে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ আদালতে শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল উপস্থিত ছিলেন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

2h ago