কৃষক বিদ্রোহ: ২৬ নভেম্বর-২৬ জানুয়ারি

ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করেন ভারতের কৃষকরা। তখন হাজার হাজার কৃষক রাজধানী দিল্লির সীমান্তে কৃষি আইনের প্রতিবাদে জড়ো হয়। তবে, প্রজাতন্ত্র দিবসে এসে কৃষকদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির অনেক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লি প্রবেশ করেন।
বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহ। রয়টার্স ফাইল ছবি

ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করেন ভারতের কৃষকরা। তখন হাজার হাজার কৃষক রাজধানী দিল্লির সীমান্তে কৃষি আইনের প্রতিবাদে জড়ো হয়। তবে, প্রজাতন্ত্র দিবসে এসে কৃষকদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির অনেক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লি প্রবেশ করেন।

এখন পর্যন্ত সরকার এবং কৃষক ইউনিয়নের মধ্যে এগারো দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, কোনো ফলপ্রসূ সমাধান হয়নি। তবে, সর্বশেষ বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার এক থেকে দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু, কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা চেয়ে বিতর্কিত কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

এখানে কৃষক বিদ্রোহের গত দুই মাসের একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো-

নভেম্বর ২৬: ৫ নভেম্বর দেশব্যাপী ‘চাক্কা জ্যাম’-এর পর পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক ইউনিয়নগুলো ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনের ডাক দেন। যা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদকে আরও তীব্র করে তোলে। হরিয়ানা পুলিশের ব্যবহৃত কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান উপেক্ষা করে কৃষকরা ভারতের রাজধানী দিল্লির সীমান্তে পৌঁছে ক্যাম্প স্থাপন করে। সিংঘু সীমান্তে বিক্ষোভের পর দিল্লি পুলিশ কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ এবং বুরারির নিরানকারি মাঠে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়।

ডিসেম্বর ১: কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ৩৫ কৃষক ইউনিয়নের নেতা ও ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র টোমারের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে, ওই আলোচনা অসমাপ্তভাবে শেষ হয়। কৃষকরা আইন বাতিলের দাবিতে অনড় থাকেন। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো নমনীয়তা দেখানো হয়নি।

ডিসেম্বর ৩: এদিন আট ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পরেও আলোচনা ব্যর্থ হয়। কেন্দ্র এমএসপি এবং ক্রয় ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তাব দিলেও ইউনিয়ন নেতারা আইনের বেশ কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করেন।

ডিসেম্বর ৫: পঞ্চম দফার আলোচনায় কৃষক নেতারা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন। তারা কেন্দ্রের কাছে ‘হ্যাঁ বা না’ জবাব চান। ফলে, কেন্দ্র ৯ ডিসেম্বর আরেকটি বৈঠক ডাকে।

ডিসেম্বর ৮: আন্দোলনরত কৃষকরা ভারত বন্ধের আহ্বান জানান। যা পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, সেখানের রাস্তা অবরোধ করা হয় এবং বাজার বন্ধ রাখা হয়। অধিকাংশ বিরোধী দল ও ট্রেড ইউনিয়ন কৃষকদের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানান। যা ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং বিহারের মতো রাজ্যেও প্রভাব ফেলে।

পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেও কোনো অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হয় উভয়পক্ষ। বৈঠকে কৃষক নেতারা তিনটি আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

ডিসেম্বর ১৬: যাত্রীদের ভোগান্তির কারণে প্রতিবাদরত কৃষকদের অপসারণের আবেদনের শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নতুন কৃষি আইন স্থগিত রাখার সুপারিশ করেন এবং অচলাবস্থা নিরসনে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিটি গঠনের বিষয়টি সামনে আনেন। তবে, আদালত স্বীকার করেন- কৃষকদের অহিংস প্রতিবাদের অধিকার আছে।

ডিসেম্বর ২১: কৃষকরা সব প্রতিবাদস্থলে দিনব্যাপী অনশন ধর্মঘট পালন করেন এবং ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরিয়ানার হাইওয়েতে টোল আদায় বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন।

ডিসেম্বর ৩০: সরকার এবং কৃষক নেতাদের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা যায়। কেন্দ্র খড় পোড়ানোর বিষয়ে একটি অধ্যাদেশে কৃষকদের বিরুদ্ধে দণ্ডিত বিধান বাতিল এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী আইন স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।

জানুয়ারি ৪: সপ্তম দফার আলোচনাও অসমাপ্তভাবে শেষ হয়। বৈঠকে কৃষক নেতারা কৃষি আইন প্রত্যাহারের চাপ অব্যাহত রাখেন। তবে, সরকার তাদের দাবিকে আবারও অস্বীকৃতি জানায়।

জানুয়ারি ৮: কৃষক নেতারা এদিনের বৈঠকেও তাদের অবস্থান ধরে রাখেন। কেন্দ্রও কৃষকদের কথা শুনতে নারাজ। ফলে, সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। কৃষক নেতারা কেন্দ্রকে জানায়, শুধুমাত্র আইন বাতিল হলে তারা ঘরে ফিরে যাবে। তবে, সরকার ইউনিয়নগুলোকে আইন বাতিলের দাবির বিকল্প পরিকল্পনা করতে বলে।

জানুয়ারি ১২: সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বাস্তবায়ন স্থগিত করে এবং একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিকে উভয় পক্ষের কথা শুনে দুই মাসের মধ্যে কী পরিবর্তন প্রয়োজন তা জানানোর সুপারিশ করা হয়। কমিটিতে আছেন- ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান; কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক প্রমোদ কুমার জোশী, কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং অ্যাগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অশোক গুলাটি, এবং শেতকারী সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত।

জানুয়ারি ১৫: নবম দফার আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ প্রতিবাদকারী কৃষক ইউনিয়নগুলো তাদের মূল দাবিতে অটল থাকেন। সরকারও আইন বাতিল না করার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল।

জানুয়ারি ২১: দশম দফার আলোচনায় সরকার কৃষি আইন দেড় বছরের জন্য স্থগিতের প্রস্তাব করে। এদিন সরকার আইন নিয়ে আলোচনার জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব করে।

জানুয়ারি ২২: কৃষকরা আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবি থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিন আরেক দফা আলোচনা হয় এবং কৃষকরা সড়ক অবরোধ করেন। কেন্দ্র জানায়, যদি ইউনিয়নের নেতারা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে পুনরায় বৈঠক হবে। ইউনিয়ন নেতারা জানায়, সরকারের প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তবে, মূল দাবি থেকে তারা সরবে না।

জানুয়ারি ২৬: কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এদিন সহিংসতায় রূপ নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকরা ট্রাক্টর র‌্যালি নিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করার সময় বিশৃঙ্খলা ঘটে। ফলে, পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ট্রাক্টর উল্টে একজন কৃষকের মৃত্যুও হয়। ক্ষুব্ধ কৃষকরা একটি ডিটিসি বাসে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে।

আলোচিত সাত-

সরকারের দেওয়া খাবার খাননি কৃষকরা: কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের দেওয়া খাবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কৃষকরা। ৩ ডিসেম্বরের বৈঠকের মধ্যাহ্ন বিরতিতে সরকারের দেওয়া খাবারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি কৃষকরা। ওই দিন একটি ভ্যানগাড়িতে করে নিজেদের খাবার নিয়ে এসেছিলেন তারা। বিজ্ঞান ভবনের ভেতরে কৃষক প্রতিনিধিরা বড় একটি টেবিলে বসে নিজেদের আনা খাবার খান। কেউ কেউ ওই কক্ষের কোণে বসেও দুপুরের খাবার খান। বৈঠক শেষে কৃষক নেতারা বলেছিলেন, ‘তারা আমাদের খাবার দেওয়ার কথা বলেছিল। আমরা রাজি হইনি। আমরা আমাদের সঙ্গে করে খাবার এনেছি। আমরা সরকারের দেওয়া চা-নাস্তা কিছুই খাইনি।’

সরকারকে দায়ী করে আত্মহত্যা: আন্দোলনে অংশ নেওয়া উত্তর প্রদেশের কৃষক কাশ্মীর সিং গত ২ জানুয়ারি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সুইসাইড নোটও লিখে রাখেন। সেখানে তিনি তার মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন। নিজের মরদেহ প্রতিবাদস্থলে দাহ করার কথাও সুসাইড নোটে লিখে যান কাশ্মীর সিং। এর আগে, ২০ ডিসেম্বর দিল্লি সীমান্তের কৃষক বিক্ষোভ থেকে ফিরে পাঞ্জাবের কৃষকের গুরলব সিং নিজ গ্রামে আত্মহত্যা করেন। এ ছাড়া, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে হরিয়ানার কার্নালের এক পুরোহিত দিল্লির সিংঘু সীমান্তের কাছে আত্মহত্যা করে মারা যান। তিনিও মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট লিখে রাখেন। সুসাইড নোটে ওই পুরোহিত লিখেছিলেন, কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী কৃষকদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেকে গুলি করলাম।

আন্না হাজারের অনশন: কৃষকদের ভারত বনধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিনব্যাপী অনশনে বসেন সমাজকর্মী আন্না হাজারে। তিনি বলেছিলেন, ‘এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে। যাতে সরকার কৃষকের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হয়।’

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মন্তব্য: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মন্তব্য করেন, বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে যথেষ্ট আলোচনার প্রয়োজন আছে। এমনকি এই আইনগুলোর পর্যাপ্ত সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন।

ট্রুডোর মন্তব্য ও কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব: গত ১ ডিসেম্বর শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের ৫৫১তম জন্মবার্ষিকীতে এক ফেসবুক ভিডিও বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে মন্তব্য করেন, তার সরকার নয়াদিল্লির কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে, ট্রুডোর ওই মন্তব্যকে ‘অযাচিত’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ৪ ডিসেম্বর ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত নাদির প্যাটেলকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নাদির প্যাটেলকে জানানো হয়, জাস্টিন ট্রুডো এবং সে দেশের সংসদ সদস্যদের মন্তব্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ‘গুরুতর’ ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

আইনের অনুলিপি ছিঁড়ে কেজরিওয়ালের প্রতিবাদ: ১৭ ডিসেম্বর দিল্লির বিধানসভা বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাখ্যান করে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আইন বাতিলের আবেদন জানায়। এদিন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে কৃষি আইনের অনুলিপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান আম আদমি পার্টির প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছিলেন, ‘মহামারি চলাকালীন সংসদে কৃষি আইন পাস করা কি জরুরি ছিল? এবারই প্রথমবারের মতো রাজ্যসভায় ভোট না দিয়েই আইন তিনটি পাস করা হয়েছে... আমি এই বিধানসভায় তিনটি আইন ছিঁড়েছি এবং কেন্দ্রকে ব্রিটিশদের চেয়ে খারাপ না হওয়ার আবেদন করছি।’ এ ঘটনার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দিল্লি ইউনিট।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সমর্থন: ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে বেশিরভাগ বলিউড তারকা চুপ থাকলেও কৃষকদের সমর্থন দেন অভিনেত্রী ও সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। টুইটারে তিনি লিখেন, ‘কৃষকরা ভারতের খাদ্য সৈনিক। তাদের সব আশঙ্কা দূর করা উচিৎ। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার।’

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, দ্য হিন্দু, দ্য ইকোনোমিক টাইমস

Comments