চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

পুনঃনির্বাচনের দাবি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র মেয়র প্রার্থীর

CTG_Election_Hatpakha_27Jan.jpg
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জান্নাতুল ইসলাম | ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জান্নাতুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদনপত্র দিয়েছেন।

জান্নাতুল ইসলাম সংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আবেদনপত্র দিয়েছি, তিনি গ্রহণ করেছেন। তার কাছ থেকে কোনো ভালো জবাব পাইনি। অনেক জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার বলেছেন— আমরা অসহায়, আমরা কোনো হেলপ পাচ্ছি না। উনার পাশেই এসপি (পুলিশ সুপার) বসে ছিলেন, এর বেশি উনি বলতে পারেননি। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ন্যক্কারজনক। তারা ন্যক্কারজনকভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন করছে। তারা আওয়ামী লীগের ব্যাচধারী এবং বিএনপির কোথাও কোনো এজেন্ট আমি দেখিনি। আমি ছাড়া আরও যে পাঁচ জন প্রার্থী, তাদেরও কোনো এজেন্ট কোনো কেন্দ্রে দেখিনি।’

আবেদনপত্রে মো. জান্নাতুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সকাল ৯টায় পাহাড়তলী রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্কুল, নির্বাচনি কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় আমি আওয়ামী ক্যাডারদের হামলার শিকার হই। আমার হাতপাখা সমর্থকসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ২৫ নম্বর, ৩৯, ২৮, ২৯, ১৩, ১৪, ১২, ২৭ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একের পর এক সিটির সব কেন্দ্র থেকে হাতপাখার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তা ছাড়া, শহরব্যাপী কোনো কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট, কর্মী সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল তাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ভোটকেন্দ্রের বুথগুলোতে নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার পর জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমি আজকের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করছি এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Protests, road blockades trigger traffic disruptions in Dhaka

Several parts of the capital have been experiencing severe traffic congestion today due to demonstrations and road blockades by different political parties citing various reason

1h ago