খুবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ছবি: স্টার

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে মানববন্ধনে শিক্ষকদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা অস্বাভাবিক মনে হলেও এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত এলাকা, সমাজকে অগ্রসর করানোর জন্য এখানে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, রাজনৈতিক চিন্তা, বিতর্ক, মত প্রকাশের ক্ষেত্র ইত্যাদি তৈরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সমাজ একটা দিশা পায়। সে দিশাটা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।’

‘‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চায় পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার শ্রেণির লোকদেরকে প্রশাসনে বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রোবটে পরিণত করতে। তারা চায় না কেউ মুক্ত চিন্তা করুক, সৃজনশীল চিন্তা করুক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো মেরুদণ্ড থাকুক। তারা এমন শিক্ষক চায় যারা শিক্ষাচর্চার সঙ্গে থাকবে না, তারা অনুগত হবে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তিনটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে— ‘অবিলম্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুবি উপাচার্যসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল বিশ্বিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সুলভ আইনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আনা।’

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হক রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে যারাই আসছেন, তারা সরকারের পক্ষে কাজ করার জন্যই আসছেন। একজন উপাচার্যের কাজ এটা হওয়ার কথা না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও বিচার হয়নি। যার ফলে উপাচার্য আজকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকেও বহিষ্কার করার সাহস পেয়েছে।’

মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমদাদুল হুদা, অধ্যাপক মো. জামালউদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুররাজ্জাক প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago