প্রবাস

সতীর্থদের নাইট ক্লাবে যাতায়াত, দুঃখ প্রকাশ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর

করোনা পরিস্থিতিতে সতীর্থদের নাইট ক্লাবে যাতায়াতে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। রয়টার্স ফাইল ফটো

করোনা পরিস্থিতিতে সতীর্থদের নাইট ক্লাবে যাতায়াতে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

গতকাল বুধবার সংসদে বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে সুগা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন জোটের আইন প্রণেতাদের এমন কর্মকাণ্ডে দলনেতা হিসেবে আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাই। একইসঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকার অনুরোধ জানাই।’

সুগা বলেন, ‘করোনাকালে জনগণ যেন নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য হন সেজন্য আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে সরকার, সেখানে একাধিক আইনপ্রণেতার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নাইট ক্লাবে যাতায়াত অন্যায়। সরকার প্রধান হিসেবে আমি এর দায় এড়াতে পারি না।’

নাইট ক্লাবে যাতায়াতকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এলডিপি’র জুন মাতসুমোতো এবং অন্যতম শরীক কোমেইতো দলের কিয়োহিকো তোয়ামাও নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা অসাবধানতাবসত এমনটা করে ফেলেছি।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে টোকিওর অভিজাত এলাকা গিনজার ভিন্ন দুটি নাইট ক্লাবে যান।

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সুগার উদ্যোগ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সুগা প্রশাসন। সমালোচকরা বলছেন, মহামারি খুব ধীরে ও অনিয়মিতভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন।

এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধিসহ আরও কঠোর উদ্যোগ নেওয়ার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। কারণ, সামনেই টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের আসর বসবে। তার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বিশ্ববাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে সরকার।

উল্লেখ্য, জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ আশঙ্কাজনকভাবে প্রভাব ফেললে সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানী টোকিওসহ মোট ১১টি প্রিফেকচারে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এই উদ্যোগের আওতায় রেস্তোরাঁ ও বার রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয় এবং ৭টার পর এ্যালকোহল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে, এসব না মানলে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

[email protected]

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

4h ago