ঢাকা থেকে ধরে সাতক্ষীরায় আনা হয়েছে: আদালতে সাহেদ

করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আদালতকে তিনি বলেছেন, তাকে ঢাকা থেকে ধরে সাতক্ষীরায় এনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাতক্ষীরায় র‍্যাবের হেফাজতে সাহেদ। ছবি সৌজন্য: র‍্যাব

করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আদালতকে তিনি বলেছেন, তাকে ঢাকা থেকে ধরে সাতক্ষীরায় এনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারক শেখ মফিজুর রহমানের কাছে কথা বলার অনুমতি চান সাহেদ। অনুমতি পাওয়ার পর তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন। আদালতকে অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা থেকে ধরে এনে সাতক্ষীরায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় সাহেদের এই বক্তব্যের কথা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করে ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। সাহেদকে আবার সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠার পর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিল র‍্যাব। বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বোরখা পরে ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় সাহেদকে একটি ব্রিজের নীচ থেকে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, দুই হাজার ৩৩০ ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মুঠোফোনে জব্দ করা হয়। সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় সাহেদ ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে একটি মামলা করে র‍্যাব। তদন্ত কর্মকর্তা দেবহাটা থানার পরিদর্শক উজ্জল কুমার মৈত্রের হাত ঘুরে র‌্যাবে উপপরিদর্শক রেজাউল করিম তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ডে নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র সাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago