বাংলাদেশ দলে বাঁহাতি স্পিনার না থাকাটাই 'স্বাভাবিক' বললেন সিমন্স
ঘরের মাঠে খেলা হলে সর্বোচ্চ সুবিধাটা নিতে চায় সব দলই। তার ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ দলও। উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো বাঁহাতি স্পিনার রাখেনি স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের প্রস্তুতিটা ঠিকভাবে হবে না। কারণ টেস্ট সিরিজে টাইগারদের বাঁহাতি স্পিনাররাই ক্যারিবিয়ানদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন। আর এ বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান কোচ ফিল সিমন্স।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ বাঁহাতি স্পিনার। তারাই বাংলাদেশের অনেক জয়ের মূল নায়ক। আরও একবার এমন কিছু করার জন্যই প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো বাঁহাতি স্পিনার রাখেনি বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ দল বাঁহাতি স্পিনার খেলার আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে যাক এমনটা হয়তো চায়নি তারা। তাই সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলামদের চমক হিসেবেই রাখতে চায় দলটি।
তাই নিজেদেরই এ কাজটি করতে হবে বলে মনে করেন উইন্ডিজ কোচ, 'তাদের (বাঁহাতি স্পিনার) বিপক্ষে আমাদের ভীতিটা দেখার সুযোগটা দেখার সুযোগ তারা (বাংলাদেশ) দিতে চায় না। আমরা জানি টেস্ট স্কোয়াডে তাদের কমপক্ষে দুইজন থাকবে। তবে এমনটাই হয়ে থাকে। এটাকেই হোম অ্যাডভান্টেজ বলে। আমাদের এ নিয়ে কাজ করতে হবে।'
আর প্রস্তুতি নিতে নেটে ব্যাটসম্যানরা স্পিনারদের বলই খুব বেশি খেলছেন বলে জানান সিমন্স, 'নেটে আমাদের স্পিনারদের এবং নেট বোলারদের যতো বেশি সম্ভব খেলছে তারা (ব্যাটসম্যানরা)। তারা বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে খেলার জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে।'
আর নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে টেস্টে ভালো ফলাফলই আশা করছেন এ কোচ, 'যদি আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে কঠিন পরিশ্রম করি তাহলে (প্রতিদ্বন্দ্বিতা) হবে। তারা জানে এটা ওয়ানডে সিরিজের মতো এতো সহজ হবে না। তবে তারপরও আমাদের সঠিকভাবে খেলতে হবে।'
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের সাফল্য নেই বললেই চলে। সবশেষ টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে তারা। কদিন আগে ওয়ানডে সিরিজেও পাত্তা পায়নি। তিনটি ম্যাচেই সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে দলের চেয়ে টেস্ট দল অনেক শক্তিশালী বলে জানান সিমন্স।
দুই দলের পার্থক্যটাও তুলে ধরেন এ ক্যারিবিয়ান, 'টেস্টে আমাদের এক থেকে দুই জন খেলোয়াড়ের অভিষেক হবে যেখানে ওয়ানডে আমাদের ১০ জন ছিল। এটা অনেক বড় পার্থক্য। টেস্ট দলের অনেকেই এখানে আগে খেলে গেছে। শেষ সফরে ক্রেইগই (ব্র্যাথওয়েট) অধিনায়ক ছিল। শ্যানন (গ্যাব্রিয়েল) ও রোচ সে দলে ছিল, তাই তাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের টেস্ট সিরিজে পাওয়া খুব ভালো ব্যাপার।'
Comments