খুবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে রাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষকসহ দুই শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার ও প্রশাসনের দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মৌন মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
এতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং খুবি’র সিন্ডিকেট দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিলের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের আগে কোনো প্রকার ছাড়পত্র না দিতে খুবির উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
কর্মসূচিতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সেই জায়গা যেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাদের মেধার পরিচয়ে এসে পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। এটাই ছিল আমাদের ন্যায় বিচারের স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে বিনষ্ট করার সর্বশেষ উদাহরণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরও বলেন, একজন ক্ষমতান্ধ উপাচার্য ব্যক্তিগত রাগ, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা থেকে তিন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছেন। খুবির এমন ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রফেসর ফায়েকুজ্জামান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিলের করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত কুমার সরকার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শুরু থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মাসিক বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন তিন শিক্ষক। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং একজন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
Comments