করোনা মহামারির ৬ মাসে ১২৭৫ জনকে লিগ্যাল এইড কমিটির সহযোগিতা
খুলনার সদর উপজেলার বাঘমারা মতলবের মোড় এলাকায় ১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি পারিবারিক সহিংসতায় রহিমা ও তার কন্যা রেশমা নিহত হন। ওই ঘটনায় রহিমার বাবা খুলনায় সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। পরের বছরের ১৮ জানুয়ারি রহিমার স্বামী শেখ জাহিদ (২৮) নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
বিচারিক আদালত ২০০০ সালের ২৫ জুন শেখ জাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের নথি পর্যালোচনা করে এবং আপিল শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। ২০০৫ সালে জাহিদ আপিল করেন।
গত বছরের ১ মার্চ খুলনা কারাকর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের কাছে চিঠি দেয়। তাতে কারাবন্দি শেখ জাহিদের আবেদন আমলে নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এম ইনায়েতুর রহিম সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি তদন্ত এবং দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণা করতে নির্দেশ দেন। ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়ক রিপন পৌল স্কু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শেখ জাহিদের বয়স এখন ৪৯ বছর। আপিল বিভাগের রায়ের পরে তিনি কারামুক্ত হয়েছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জাহিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি শোচনীয় জীবন যাপন করছেন। তিনি সাহায্য চেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। একইভাবে করোনা মহামারির মধ্যে গত ছয় মাসে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এক হাজার ২৭৫ অসহায় ব্যক্তিকে সহযোগিতা করেছে। এর মধ্যে ৩৫৪ জন নারী এবং ৮৮১ জন পুরুষ। এ ছাড়া, কমিটির আইনজীবী প্যানেল ৩৩টি মামলার নিষ্পত্তি করেছে।
Comments