ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা: ব্যথা পাইনি, পুরোপুরি ঠিক আছি
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমএমইউ) ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলাম। কোনো ব্যথা পাইনি। আর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। পুরোপুরি ভালো আছি। কিন্তু, এটা নিশ্চিত করতে আমাকে ছাড়ার আগে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আমি পুরোপুরি ঠিক আছি।
ভ্যাকসিনের গুণমান ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যারা জানে এমন শিক্ষিত শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যেও একটা ভিত্তিহীন আশঙ্কা কাজ করছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে সব তথ্য ইন্টারনেটে আছে। ইংল্যান্ডের দুজন সহকর্মীর কাছ থেকে আজ একটি বার্তা পেয়েছি। তারা গতকাল এ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তারাও ভালো আছেন।
মানুষের জানা উচিত যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পেটেন্ট করা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। তাই, এই ভ্যাকসিনের গুণমান সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই।
বাংলাদেশও ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে বলে মনে হয়।
ভ্যাকসিন সম্পর্কে একমাত্র যা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, তা হচ্ছে— এটি কতদিন পর্যন্ত শরীরকে রোগপ্রতিরোধে সক্ষম রাখতে পারে। আর, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে কম কার্যকর কি না।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর জন্য এর ট্রায়াল শেষ হওয়ার অপেক্ষা করেনি।
মানুষকে জানানো উচিত যে, প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রায় ১২ দিন পর থেকে ভ্যাকসিন কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু, দুই ডোজ নিলেও পুরোপুরি নিরাপদ ভাবার কোনো কারণ নেই। সুতরাং, করোনা প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা কোভিড হাইজিন মেনে চলাই নিউ নরমালের অংশ হিসেবে মেনে চলা উচিত।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ।
Comments