রিশাদের বোলিংয়ের প্রশংসায় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক
পেস বোলারদের বেশ ভালোই সামলাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। স্পিন আক্রমণ আসতেই বদলে যায় পাশা। পরে অবশ্য পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদও তোপ দাগিয়েছেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাটিং লাইন আপ ধসানোর মূল কারিগরই ছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। আর ম্যাচ শেষে তাই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই পেলেন এ স্পিনার।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এদিন একাই ৫টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। তার ঘূর্ণিজালে পড়েই ২৫৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় সফরকারীদের।
খুব বেশি টার্ন কিংবা বাউন্স না পেলেও লাইন লেংথ বজায় রেখে সাফল্য আদায় করে নেন রিশাদ। ম্যাচ শেষে তার সম্পর্কে ব্র্যাথওয়েট বলেন, 'তাদের লেগ স্পিনার বেশ ভালো করেছে। সে ধারাবাহিক ছিল। খুব বেশি টার্ন এবং বাউন্স ছিল না কিন্তু সে তার লাইন-লেংথ নিয়ে বেশ ধারাবাহিক ছিল। সে ভালো বোলিং করেছে।'
অবশ্য বাংলাদেশে বরাবরই স্পিনারদের বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হয় ক্যারিবীয়দের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে সেরা প্রস্তুতি নিতে না দেওয়ার লক্ষ্যে বাঁহাতি কোনো স্পিনার রাখা হয়নি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা স্পিনাররাও নেই। তাতেই যেন সুযোগ মিলে রিশাদের। আর তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন লেগি।
তবে কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল না বলেই মনে করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। সব মিলিয়ে নিজেদের পারফরম্যান্সে খুশি তিনি, '(কন্ডিশন) কঠিন বলবো না, বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। অবশ্যই পিচ একটু ধীর গতির এবং বাউন্স একটু কম ছিল। আমাদের সাবধানে বল দেখতে হয়েছে। কিন্তু আমি বেশ খুশি।'
এদিন ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংসে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট। নিজের পারফরম্যান্সেও খুশি তিনি, 'উইকেটে কাটানো সময় নিয়ে খুশি। বেশ কঠিন ছিল। আমরা নিশ্চিত করেছি যে আমাদের ডিফেন্স ভালো ছিল এবং বল দেখে খেলেছি। আমি সামনে এগিয়ে খেলেছি কয়েকবার। যেহেতু পিচ একটু লো ছিল তাই আমি তাড়াতাড়ি সামনে এগুচ্ছিলাম না।'
শেষ দিনে নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ঝরে অধিনায়কের কণ্ঠে, 'দ্বিতীয় দিনে আমরা বোলিং করব। আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমরা কালকের জন্য মুখিয়ে আছি। অবশ্যই বিসিবি একাদশ এই কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে পারি তাহলে ভালো একটি দিন কাটাবো।'
Comments