কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে হঠাৎ চাপে বিসিবি একাদশ
সাদমান হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল, হেসেখেলেই বড় সংগ্রহের পথে যাচ্ছে বিসিবি একাদশ। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই যেন বদলে গেল সব। রাহকিম কর্নওয়ালের ঘূর্ণিজালে আটকে হুট করেই ধাক্কা খেল টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ল স্বাগতিকরা।
শনিবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ৩৪ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলেছে বিসিবি একাদশ। এর আগে নিজের প্রথম ইনিংসে ২৫৭ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে এখনও ১৪২ রানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা।
বিনা উইকেটে আগের দিনের করা ২৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বিসিবি একাদশের শুরুটাই এদিন ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করতেই সাজঘরে ফিরে যান সাইফ হাসান (১৫)। কেমার রোচের গুড লেংথের ভেতরে ঢোকা বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন তিনি। ফলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এ ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন নাঈম। উইকেটে নেমে দ্বিতীয় বলেই কভার দিয়ে দারুণ এক চার মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিতটা দিয়ে রাখেন এ তরুণ। স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে রানের গতি সচল রাখেন। মাঝে আলজারি জোসেফের টানা দুটি বলে চার মারেন তিনি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের হাফসেঞ্চুরির পথে। তবে কর্নওয়ালের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৪৮ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন তিনি।
নাঈমের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে ২ রান হতে ফিরে যান সাদমানও। ১২৬ মিনিট উইকেটে থাকা এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যেন ধৈর্য হারান। জোসেফের খাটো লেংথের বল পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বলে-ব্যাটে সংযোগ ঠিক হয়নি। এক্সট্রা কভারে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
দুই বল পর ইয়াসির আলি আউট হয়ে বিপদ ডেকে আনেন স্বাগতিকদের। কর্নওয়ালের বল ডিফেন্স করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন কাভিম হজের হাতে। এরপর তরুণ অলরাউন্ডার শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে প্রতিরোধ লড়াইয়ে আছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অবিচ্ছিন্ন ১৫ রানের জুটি গড়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন তারা। সোহান ৭ ও দিপু ৮ রানে ব্যাট করছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৭
বিসিবি একাদশ: ৩৪ ওভারে ১১৫/৪ (সাইফ ১৫, সাদমান ২২ নাঈম ৪৫, ইয়াসির ১, দিপু ৮*, সোহান ৭*; রোচ ১/৩৯, গ্যাব্রিয়েল ০/৩০, কর্নওয়াল ২/২৭, জোসেফ ১/২৯, মায়ার্স ০/৯)।
Comments