ফেনী পৌরসভা নির্বাচন

বিএনপির ২ কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর, ককটেল বিস্ফোরণ

ফেনী পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে আজ শনিবার সকালে বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর এবং বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Feni.jpg
ছবি: স্টার

ফেনী পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে আজ শনিবার সকালে বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর এবং বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া, একাধিক ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনে প্রার্থী, ভোটার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর মেহেদী-সাঈদী পৌর বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশপাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসময় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে, ওই ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুর ইসলাম (গাজর মার্কা) ও তাজুল ইসলাম পাভেলকে (ডালিম মার্কা) মারধর করা হয়েছে। এরপর কেন্দ্রের আশপাশে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এসময় কেন্দ্র ভোটার শূন্য হয়ে যায়। সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ওই কেন্দ্রের একটি নারী বুথে ভোট পড়ে মাত্র একটি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর হাজী সামছুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিএনপির প্রার্থী আলাল উদ্দিনের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থনে প্রচুর সংখ্যক বহিরাগত বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। সকাল থেকে আওয়ামী লীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীরা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র নিজেদের একক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা নিজেরাই ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’

সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বেশীরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। বেলা সাড়ে ১০টায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর নূরীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে প্রচুর লোকসমাগম দেখা গেলেও, কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে গড়ে ৫০টি ভোট পড়েছে।

সকাল পৌনে ৮টায় ফেনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ছাড়া আর কোনো ভোটার কেন্দ্রে যাননি বা লাইনে দাঁড়াননি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সব ব্যবস্থা হয়েছে। কোনো গোলযোগের খবর তার জানা নেই। সকালে ভোট গ্রহণের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago