সাংবাদিক পার্ল হত্যা মামলার রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ, পাকিস্তান সরকারের আপিল

মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও শিরশ্ছেদের ঘটনায় প্রধান চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
Daniel Pearl.jpg
মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও শিরশ্ছেদের ঘটনায় প্রধান চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।

গত বৃহস্পতিবার আদালতের এমন রায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে পাকিস্তান সরকার।

আজ শনিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জঙ্গি আহমেদ ওমর সাঈদ শেখসহ চার জনকে ছেড়ে দিতে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিল করেছে দেশটির সরকার। গতকাল শুক্রবার এ আপিল আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে প্রথমবারের মতো ফোনে আলাপ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। কথোপকথনে আদালতের ওই রায় নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান তিনি।

তারা দুজনই অপহরণ ও হত্যার জন্য ওই চার আসামির শাস্তি নিশ্চিতে ‘আলোচনা করেছেন’ বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এই রায়কে ‘পাকিস্তানসহ সবখানেই সন্ত্রাসবাদের শিকার মানুষগুলোর জন্য অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেন।

সেসময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ওই মামলার মূল আসামি শেখের বিরুদ্ধে মামলা করতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত আছে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক পার্ল হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জঙ্গি আহমেদ ওমর সাঈদ শেখসহ আরও তিন জনকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের এক প্যানেল।

পার্ল পরিবারের আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকী ও এক সরকারি প্রসিকিউটর রয়টার্সকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যালোচনার জন্য আপিল করেছে সিন্ধু প্রদেশের সরকার।

প্রসিকিউটর ফয়েজ শাহ বলেন, ‘আমরা তিনটি রিভিউ পিটিশন দিয়েছি। যার মধ্যে চার জনকে ছেড়ে দেওয়ার রায় বাতিল এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জঙ্গি আহমেদ ওমর সাঈদ শেখের মৃত্যুদণ্ড বহালের আবেদন করা হয়েছে।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর করাচিতে জঙ্গিদের নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন ৩৮ বছর বয়সী মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। তাকে সেসময় অপহরণ করা হয়। এর কয়েক সপ্তাহ পর তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের মুক্তির রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছে পার্লের পরিবার।

Comments