বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বিসিবি একাদশ
প্রথম ইনিংসেই বড় লিড পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো ব্যাটিং। দুই মিলে বিসিবি একাদশকে বিশাল লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি। শেষ দুই সেশনে জিততে হলে ৩৮৯ রান করতে হবে স্বাগতিকরা। কাজটা প্রায় অসম্ভব। তবে ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যে ব্যাট করছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ফলে লিড দাঁড়ায় ৩৮৮ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৫৭ রান তুলেছিল দলটি। বিসিবি একাদশ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ১৬০ রান।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন এনক্রুমাহ বনার। সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দি হন তিনি। এদিন নিজে কোনো রান যোগ করতে পারেননি বনার। ১৩৮ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৮০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ক্যারিবিয়ান শিবিরে আঘাত হানে স্বাগতিকরা। রাকিম কর্নওয়ালকে ফেরান মুগ্ধ। তবে সপ্তম উইকেটে জশুয়া ডি সিলভা ও রেমন রিফার দারুণ এক জুটি গড়েন। এ দুই ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে ৮২ রান যোগ করেন। ফলে বিশাল লিডই পায় দলটি। এ জুটি ভাঙেন মুগ্ধ।
পরে লেজের দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ভিরাসামি পারমলকে ফেরান খালেদ আর ওয়ারিকানকে মুগ্ধ। কিন্তু ততক্ষণে ক্যারিবিয়ানদের লিড দাঁড়ায় ৩৮৮ রানে।
বিসিবি একাদশের পক্ষে এদিন দারুণ বোলিং করেছেন মুগ্ধ। ৫৯ রানের খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। কম যাননি খালেদও। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পান ৩টি উইকেট। ২টি শিকার সাইফ হাসানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৫৭
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস: ১৬০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯১ (ক্যাম্পবেল ৬৮, মোসলে ০, বনার ৮০*, ব্ল্যাকউড ৪, মেয়ার্স ৮, হজ ১৯, ডি সিলভা ০*; খালেদ ১/১৬, মুগ্ধ ১/৩২, সাইফ ২/৩২, রিশাদ ০/৬১, শাহিন ০/২২, হৃদয় ১/১৬)।
Comments