ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন হয়েছে ১৫ হাজার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।
রয়টার্স ফাইল ফটো

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।

স্বাস্থ্যকর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মতো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের অনেকেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিবন্ধনের জন্য অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে, নিবন্ধন করতে www.surokkha.gov.bd এ যেতে হচ্ছে, যা গত ২৭ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এই অ্যাপটি কয়েক দিনের মধ্যেই প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে।

তারা আরও জানিয়েছেন, এই অ্যাপ তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। তারাই পরবর্তীতে বলতে পারবে যে কোন গ্রুপ থেকে কত জন নিবন্ধন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে নিবন্ধন করতে যে প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে তা সমাধানেও কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নিবন্ধন করতে গিয়ে টিকা কেন্দ্রের নাম খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ব্যবহৃত ঠিকানার ভিত্তিতে টিকাকেন্দ্রের তালিকা ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে উল্লেখ করে সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যদি কেউ তাদের বর্তমান ঠিকানা দেয় তাহলে কেন্দ্রের তালিকা আসবে না। আমাদের ডাটাবেসে এনআইডি কার্ডধারীদের স্থায়ী ঠিকানা আছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আরও কয়েকটি ছোটখাটো প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঠিক করা হবে।’

কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে বলেছেন, বর্তমানে সরকারি হাসপাতাল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবাদিক সংগঠন এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মতো অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন তাদের অনলাইন নিবন্ধন চলছে।

অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ৫৫ বছরের কম বয়সী অনেকে বলেছেন যে তারা ফরম পূরণ করার পর নিবন্ধন হয়নি।

এমআইএসের মেডিকেল অফিসার মো. তৌফিক হাসান শাওন গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে তালিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালিকা আপডেট করছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রত্যেক ভ্যাকসিন গ্রহীতা তাদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। ডাটাবেসে এনআইডি নম্বর অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তাদের অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে।’

গত ১৩ জানুয়ারি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের তালিকা ও তাদের এনআইডি নম্বর পাঠাতে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমআইএস অনেক জেলা থেকে এখনও তালিকা পাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মোবাইল অ্যাপটি সবই ব্যবহার করতে পারবেন।’

অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করা হয়েছে এবং সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।

গত সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিনের প্রথম ধাপে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে দেড় কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে প্রথম মাসে ৬০ লাখ এবং তারপরের মাসে আরও ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ঢাকা শহরে ৪৯টি ও ঢাকার বাইরে ৬১৩টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago