‘উচ্ছেদ পরিকল্পনা’র প্রতিবাদে মধুপুরে গারো-কোচ-বর্মণদের সমাবেশ
জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বন ঘোষণা এবং দখলীকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের নামে স্বত্ব-দখলীয় ভূমি থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে উচ্ছেদ ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গারো, কোচ এবং বর্মণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
আজ রোববার মধুপুরের জলছত্র ফুটবল মাঠে এই সমাবেশ হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শত শত নারী-পুরুষ মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, মধুপুর গড়াঞ্চলে শত শত বছর ধরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। কিন্তু দখলীকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের নামে বনবিভাগ তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে।
বক্তারা বলেন, সংরক্ষিত বনভূমির নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং মধুপুরের গারো, কোচ এবং বর্মণদের ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। বনবিভাগ কর্তৃক গারো নেতা পীরেন স্লানসহ সব হত্যার বিচার করতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর শত শত মিথ্যা বন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
আদিবাসীদের এই দাবি না মানলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেতা ইউজিন নকরেক, প্রবীর নকরেক, অজয়-এ-মৃ, উইলিয়াম দাজেল, জন যেত্রা, অলিক মৃ, লিয়াং রিছিল, ইব্রীয় ম্রং, অনন্ত ধামাই, টনি চিরান, মিঠুন হাগিদক প্রমুখ।
সমাবেশের পর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম খান আবুর অনুরোধে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এর আগে, টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডা. জহিরুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘সারাদেশে দখল হয়ে যাওয়া ২ লাখ ৭৮ হাজার একর বনভূমি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
Comments