সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ট্রাস্ট কার্যকরের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

দ্রুত সড়ক পরিবহন বিধিমালা প্রণয়ন করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে ট্রাস্টি বোর্ড কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বাংলাদেশের ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ছবি: স্টার

দ্রুত সড়ক পরিবহন বিধিমালা প্রণয়ন করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে ট্রাস্টি বোর্ড কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

তারা আরও দাবি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

আজ সোমবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলাদেশের ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করেন।

জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে গত ডিসেম্বরে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণ বিষয়ক সমস্যা সমাধানে কাজ করার কথা রয়েছে এই ট্রাস্টের।

গত ২২ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান এবং সচিবকে তাত্ক্ষণিকভাবে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সচিব হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে মন্ত্রণালয়।

তবে, এখন পর্যন্ত বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারছে না ট্রাস্ট।

ক্ষতিপূরণ পেতে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার যারা হয়েছেন তাদের অপেক্ষা করতে হবে বিধি প্রণয়ন ও সরকারের থেকে তা অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত। তারা চাইলে এখনও ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন। তবে ট্রাস্টি বোর্ড পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত সেগুলোর সমাধান করা সম্ভব হবে না।

মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যরা মোটর দুর্ঘটনা দাবি ট্রাইব্যুনালে মৃত্যু, আহত ও সম্পত্তির ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চাইতে পারতেন।

কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর আগের আইনটি বাতিল করা হয়েছে। এতে করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের সুযোগ কমে গেছে। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

5h ago