মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশ

AK Abdul Momen
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে যে মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে।

আজ সোমবার ভোরে অং সান সু চি ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের আটক করে সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল ও আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ।

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবিৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে এবং তা তুলে ধরে। আমরা আশা করি, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা বহাল থাকবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘পার্শ্ববর্তী ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় ঢাকা।’

‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক উন্নয়নে সম্পর্ক বজায় রাখতে অবিচল ছিলাম এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি যে এই প্রক্রিয়াগুলো বজায় থাকবে।’

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পর থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলাও চলছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।

বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইন রাজ্য প্রত্যাবাসনের উপযোগী নয়। কারণ, সেখানে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং মৌলিক অধিকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই।

চীন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। সেখানে কে ক্ষমতায় আছেন তা বিবেচ্য নয়। চুক্তিটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

সেনাবাহিনী ক্ষমতায় থাকলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো প্রভাব পরবে না আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ১৯৮০ বা ১৯৯০ এর দশকেও সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় ছিল। তখনও আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে পেরেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago