কখনোই বার্সেলোনার কোচ হবেন না পচেত্তিনো
অতীতে বেশ কয়েক দফা তার নাম জুড়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে। তাকে স্প্যানিশ ক্লাবটির ত্রাণকর্তা হিসেবে উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, বার্সার দায়িত্ব নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব।
আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলারের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এস্পানিয়লে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিলেন পচেত্তিনো। কোচ হিসেবে তার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে কাতালুনিয়ার ক্লাবটিতে থাকাকালে। হ্যাঁ, বার্সেলোনার মতো এস্পানিয়লও স্পেনের এই স্বায়ত্তশাসিত ও ঐতিহাসিক অঞ্চলে অবস্থিত। তবে দুদলের মধ্যে রয়েছে আদর্শগত মতভেদ, রাজনৈতিক অবস্থান বিপরীতমুখী। ফলে তাদের সম্পর্কটা ভীষণ বৈরিতার।
গত বছরের জানুয়ারিতে পচেত্তিনোর বার্সেলোনার কোচ হওয়ার জোর গুঞ্জন উঠেছিল। স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন আরএসি ওয়ান দাবি করেছিল, আর্নেস্তো ভালভার্দের উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হবে তাকে। কিন্তু তা মিথ্যা করে দিয়ে দায়িত্ব পান কিকে সেতিয়েন। এরপর গত বছরের অগাস্টে ফের মাথাচাড়া দেয় জল্পনা-কল্পনা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সেতিয়েনের পর ন্যু ক্যাম্পে কোচ হয়ে যাবেন পচেত্তিনো। কিন্তু সেবারও ফলেনি ভবিষ্যদ্বাণী। রোনাল্ড কোমানের কাঁধে তুলে দেওয়া হয় লিওনেল মেসিদের সামলানোর ভার।
ওই দুটি ঘটনার সময় ‘বেকার’ ছিলেন পচেত্তিনো। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর গত জানুয়ারিতে ফরাসি পরাশক্তি পিএসজির কোচ নিযুক্ত হন তিনি। তাহলে বার্সেলোনার কোচ হতে তিনি কেন সম্মত হননি? নাকি তার কাছে কোনো প্রস্তাবই যায়নি?
সোমবার ফরাসি গণমাধ্যম আরএমসি স্পোর্তকে পচেত্তিনো দিয়েছেন ব্যাখ্যা। শহর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়লকে কোচিং করানোর কারণেই তিনি কখনো বার্সার দায়িত্ব নেবেন না, ‘আমি কখনোই বার্সেলোনাকে পরিচালনা করব না। এটা অসম্ভব। সেই শহরের (কাতালুনিয়ার) একটি অংশের সঙ্গে আমার জীবনের সংযোগ রয়েছে, যা এটিকে অসম্ভব করে ফেলেছে। যেমন (পিএসজির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী) মার্সেইয়ের কোচ হওয়াও আমার পক্ষে অসম্ভব।’
Comments