মহাকাশে রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইট পাঠানোর পরীক্ষায় ইরান

মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে নতুন ‘জুলজানাহ’ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ইরান।
Iran rocket
ছবি: এএফপি

মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে নতুন ‘জুলজানাহ’ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ইরান।

গতকাল সোমবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, স্যাটেলাইট-বহনকারী রকেটটির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটিতে দেখা গেছে দিনের বেলায় একটি মরুভূমি অঞ্চল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। তবে তা কোন এলাকা ও কখন এ পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ বিভাগের মুখপাত্র আহমাদ হোসেইনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই প্রথম স্যাটেলাইট বহনকারী “জুলজানাহ” রকেটের পরীক্ষামূলক উৎেক্ষেপণ চালানো হয়েছে। এটি স্যাটেলাইট নিয়ে গিয়ে মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করবে।’

এ রকেটে ‘খুব শক্তিশালী কঠিন জ্বালানির ইঞ্জিন’ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তার মতে, উৎক্ষেপণের পর রকেটটি প্রথম দুই ধাপে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করবে এবং তৃতীয় ধাপে তরল জ্বালানি ব্যবহার করবে।

রকেটটি প্রায় ২২০ কেজি ওজনের স্যাটেলাইট ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বহন করতে পারবে বলেও জানিয়েছে তিনি।

পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর ‘জুলজানাহ’ রকেটটি অপারেশনাল স্যাটেলাইটগুলোকে কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, এটি মোবাইল লঞ্চিং প্যাড থেকেও উৎক্ষেপণ করা যাবে।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইরান সরকার মনে করে যে পরমাণু কর্মসূচির মতো দেশটির স্যাটেলাইট কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের এসব কর্মসূচিকে সন্দেহের চোখে দেখে আসছে। তারা মনে করে, এর মধ্য দিয়ে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যা সামরিক কাজে ব্যবহৃত হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উৎক্ষেপণে দুই বার ব্যর্থ হওয়ার পর ও একবার লঞ্চপ্যাড রকেট বিস্ফোরণের পর ২০২০ সালের এপ্রিলে ইরানের বিপ্লবী গার্ড দেশটির প্রথম সামরিক নিরীক্ষণ স্যাটেলাইট ‘নূর’ সফলভাবে মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়।

Comments

The Daily Star  | English
power outage in rural areas

Power outages on the rise again

Power cuts are getting more frequent as power generation has failed to keep up with the high demand caused by the rising mercury.

10h ago